জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: পুরুলিয়া জেলার কাশীপুর থানার মালঞ্চা গ্রামে বাবাকে খুন করে নদীর পাড়ে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় ছেলে ও তার স্ত্রী। শুক্রবার এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো গোটা কাশিপুর এলাকা জুড়ে। জানা যায়,পারিবারিক অশান্তির জেরে বাবা মহেশ্বর সরেনের সঙ্গে ঝগড়া বাঁধে মেজো ছেলে শ্রীকান্ত সরেন ও তার স্ত্রী নমিতা সরেনের।
তারপরেই আর বাবার খোঁজ মেলেনি গ্রামে বলে জানা যায়। খড়গপুরে শ্রমিকের কাজ করা ছোট ছেলে সঞ্জয় সরেন গত বৃহস্পতিবার বাড়িতে এলে বাবার খোঁজ শুরু করেন। খোঁজ করতেই মেজো ছেলের কাছ থেকে অসংলগ্ন কথা বার্তা উঠে আসে। তারপরেই বাড়িতে রক্তের দাগ দেখা পেলে সন্দেহ হয় ছোট ছেলের। এমন ঘটনার পরেই কাশীপুর থানায় অভিযোগ করেন সঞ্জয়। ঘরের মধ্যে রক্তের দাগের কথাও জানান পুলিশকে।
তারপরেই কাশীপুর থানার পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তকারী অফিসারেরা ওই গ্রামে ছুটে আসেন। সেখানে মেজো ছেলে শ্রীকান্তকে জেরা করে পুলিশ। এরপরেই শুরু হয় তদন্তে। শ্রীকান্ত তদন্তকারী অফিসারদের কে নিয়ে স্থানীয় দ্বারকেশ্বর নদীর পাড়ে যান। দ্বারকেশ্বর নদীর পাড় থেকে বালির মধ্যে পোতা থাকা বাবা মহেশ্বর সরেনের (৭২) দেহটি উদ্ধার করে কাশীপুর থানার পুলিশ। ঘটনায়,বাবাকে খুন করে নদীর পাড়ে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠে মেজো ছেলে শ্রীকান্ত সরেন ও তার স্ত্রী নমিতা সরেনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শ্রীকান্ত সরেন ও তার স্ত্রী নমিতা সরেনকে এদিনই গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ। কাশীপুর থানার পুলিশ মহেশ্বর সরেনের দেহটি উদ্ধার করে পুরুলিয়া দেবেন মাহাত গভর্নমেন্টন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কাশীপুর থানায় ঘটনার তদন্ত করতে আসা পুরুলিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় মৃত ব্যাক্তির মেজো ছেলে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঘটনায় ইতিমধ্যেই জোরদার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। শনিবার অভিযুক্ত মেজো ছেলে শ্রীকান্ত সরেন ও তার স্ত্রী সরিতা সোরেনকে রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক মেজো ছেলে শ্রীকান্ত সরেনের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত ও তার স্ত্রী সরিতা সরেনের জেল হেফাজত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct