আপনজন ডেস্ক: সবার ঘরেই কমবেশি মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থাকে। তবে এ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন কোনো তথ্য জানা নেই! মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ কতটা নষ্ট হয়? ধরুন, হঠাৎ আপনার প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা হলো। আপনি খুঁজতে গিয়ে ড্রয়ারে দেখলেন প্যারাসিটামল আছে। যার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এক বছর আগে পার হয়ে গিয়েছে। সেটি নিয়ে আপনি কী করবেন? মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খেলে কী হয়? এই ওষুধ খাবেন না-কি খাবেন না? খেলে কি অসুস্থ হয়ে পড়বেন? এই ধরনের নানান প্রশ্ন প্রায় সব মানুষের মনেই ঘুরপাক খায়। মানুষের মনে বিভ্রান্তি, সংশয় দেখা দেয়। অনেকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নির্ধারণ করাটা কতটুকু সততা ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়? সত্যিই কি ওষুধের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের পর নষ্ট হয়ে যায়? আসুন, বিষয়টা জেনে নেওয়া যাক।
গবেষকরা জানান, ওষুধ কোনো ম্যাজিক নয়। ওষুধের কাজ হলো রোগ সারানো। কতকগুলো উপাদান দিয়ে তৈরি হয় ওষুধ। ওষুধ তৈরির উপদানেই আছে মারাত্মক সব বিষ। ধরা যাক, প্যারাসিটামল ৫০০। ওষুধের গায়ে ৫০০ এমজি লেখা। তাই বলে এই ওষুধে ঠিকঠাক ৫০০ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল থাকে কি? ওষুধে ৪৯০ থেকে ৫১০ মিলিগ্রামের মধ্যে প্যারাসিটামল থাকে। এখন সিরাপ হলে এর মধ্যে রং বা গন্ধ, ফ্লেভার মেশানো হয়। আবার ট্যাবলেট হলে শক্ত করার জন্য আঁঠা মিশিয়ে উচ্চ চাপে ট্যাবলেট তৈরি করা হয়। ওষুধ মানেই তার মধ্যে রাসায়নিক, ফিজিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল গুণ থাকবে। গবেষকরা বলেন, ‘একটি ওষুধ কতদিন কার্যকরী থাকবে তা আসলে একটা অঙ্কের মতো। যেহেতু ওষুধে নানাবিধ রাসায়নিক দ্রব্য থাকে, সেহেতু একটা সময়ের পর দেখা যায় ওই ওষুধের টক্সিক প্রভাব অর্থাৎ বিষাক্ত গুণাগুন বাড়তে থাকে।' সেই কারণেই ওষুধের গায়ে কতদিনের মধ্যে ওষুধ খেতে হবে তা লেখা থাকে। এটার মানে ওষুধের সেই কম্পোজিশনগুলো কতদিন ঠিক থাকবে তার ঘোষণা। একে বলে এক্সপায়ারি ডেট। যার মানে ধরে নেওয়া হয়, এরপর ওই ওষুধ খারাপ হয়ে যায়। সব ওষুধেরই এক্সপায়ারি ডেট থাকে। সঙ্গে থাকে সাবধানবাণী। ইঞ্জেকশন, ট্যাবলেট, ওয়েন্টমেন্ট, স্প্রে ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘ওই তারিখটা পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই ওষুধ খেলে ক্ষতি হতে পারে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct