আপনজন ডেস্ক: মহামারি করোনাকালে এক অস্থিরতায় ভুগছে মানুষ। গত দেড় বছরে প্রায় থমকে গিয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। আর সামান্য যা কিছু চলছে, তা আবার অনলাইনে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আজ জানিয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করতে হবে। আর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। করোনা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা কেমন হতে চলেছে, সে বিষয়েই শনিবার এক অনলাইন আলোচনা করে ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ না পাওয়া মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা। যেখানে অংশগ্রহণ করেন কলকাতাসহ সারাদেশের কয়েশ শিক্ষার্থী।
এদিনের আলোচনায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আশীষ কুমার দাস বলেন, "করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্র সমাজের ভবিষ্যত সংকটময়। শিক্ষাক্ষেত্র সচল রাখতে যে আশু উদ্যোগ প্রয়োজন তা দেখা যাচ্ছে না। তাই তাদের ও সমাজের পথপ্রদর্শক হিসেবে শিক্ষকদেরই নিজস্ব উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে। ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিসের মেধাতালিকা ভুক্ত হলেও নিয়োগ না পেয়েও এই প্রার্থীরা যে করোনা উত্তর শিক্ষার ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছে তাতে আমি কিছুটা হলেও আশান্বিত।" দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স' ট্রেনিং, এডুকেশন প্ল্যানিং এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড. মৃণাল মুখার্জী জানান, 'আমাদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি সংকটি একটি নতুন সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলে। করোনাকালে শিক্ষা ব্যবস্থায় সেই সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। হাতেকলমে শিক্ষার যে ধারা গড়ে উঠেছিল, আগামীতে তা নতুন পথে প্রবাহিত হবে। তবে, এটি প্রান্তিক মানুষের জন্য প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা বহন করবে। তাই, এরজন্যও আমাদের ভাবতে হবে।' এছাড়া, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুরজিৎ ব্যানার্জী বলেন, 'শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত শিক্ষা গ্রহণ করলে হবে না, মানবিকাতার প্রসার ঘটাতে হবে। মহামারী করোনা আজকে তা বারেবারে মনে করাচ্ছে।'