নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: চাকরি পাওয়ার নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার এক যুবকের খোয়া গেল ৫ লক্ষাধিক টাকা। প্রতারণার শিকার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগেশ দাস নামে এক যুবক। কৃষি দপ্তরে গ্রুপ ডি কাজ দেওয়া হবে এই প্রলোভন দেখিয়ে ওই গরীব অসহায় যুবকের কাছ থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। অভিযোগের তীর কৃষি দপ্তরের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।এই নিয়ে মালদা জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কৃষি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রতারণা। ভুয়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার প্রদান করার অভিযোগ কৃষি দপ্তরের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসিহাটা গ্রামের যুবক যোগেশ দাস তার অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী সহ জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা এলাকার যুবক যোগেশ দাস।তার অভিযোগ কৃষি দপ্তরের কর্মী দিনেশ পারিহর কৃষি দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে।তাকে পূর্ব মেদিনীপুরে সুতাহাটা ব্লকের চাকরি দেওয়ার জন্য ভুয়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া হয়। কিন্তু তা পরীক্ষা করার পর তিনি জানতে পারেন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারটি ভুয়ো।
এ প্রসঙ্গে মালদা জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া জানান ওই ব্যক্তির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।আমরা এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তের আইনজীবী সন্টু মিঁয়া বলেন নির্দিষ্ট জায়গায় আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি।এরপরও যদি কোন ব্যবস্থা না হয় তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হব।
এ প্রসঙ্গে যোগেশ দাস জানান চাকরির আশ্বাস পেয়ে ধাপে ধাপে তিনি ওই ব্যক্তিকে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ওই ব্যক্তির দেওয়া নিয়োগপত্র নিয়ে যখন তিনি দপ্তরে যোগদান করতে যান সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই নিয়োগ পত্র ভুয়ো।তারপর সেই ব্যক্তির কাছে টাকা ফেরত চাইলে ওই ব্যক্তি জানান এখন কৃষি দপ্তরের গ্রুপ ডি তে হাইকোর্টের মামলা রয়েছে তাই তাকে বন দপ্তরে নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে টালবাহনা দেখা গেলে বাধ্য হয়ে যোগেশ বাবু টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় যোগেশ দাস প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভাবের সংসারে ধার করে তিনি ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন কর্মসংস্থানের জন্য কিন্তু এখন চাকরি পেলেন না অন্যদিকে পাওনাদারের চাপযোগেশ দাস এর বাবা অতুল দাস জানান সামান্য কয়েক বিঘা জমি ছিল তাদের।ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য তা বিক্রি করে ধাপে ধাপে এই টাকা তার ছেলের চাকরির জন্য দিয়েছিল অভিযুক্তকে । বর্তমানে চরম অসহায় অবস্থায় আছেন তারা।তার এক আত্মীয় শংকর ঘোষ বলেন,যেভাবে এই যুবকের কাছ থেকে প্রতারণা করা হয়েছে তা খুবই নেক্কারজনক। অবিলম্বে যাতে পুলিশ প্রশাসন টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct