কুতুবউদ্দিন মোল্লা: পাথরপ্রতিমা থানার গঞ্জের বাজার এলাকায় রাজ রাজেশ্বর পুরে আবগারি পুলিশ শশুরের অমানবিক ব্যবহার,মাত্র পাঁচ মাস বিবাহিত জীবনের ছেলের বউকে ঘর করাতে অস্বীকার। পাড়ার মহিলাদের উদ্যোগে ধর্নায় বসলো বৌমা,প্রশাসনিক হস্তক্ষেপেও দরজা খুলল না আবগারি পুলিশ শশুর। গত পাঁচ মাস আগে দেখাশোনা করে সামাজিক প্রথা মতে রামগোপালপুর এলাকার সুমিত্রা খিলা নামে এক শিক্ষিত যুবতীর সঙ্গে বিবাহ হয় পার্থপ্রতিম খিলার সঙ্গে। পার্থপ্রতিম এর বাবা পেশায় আবগারি পুলিশ, নাম প্রবীর খিলা,বর্তমানে কাকদ্বীপে কর্মরত।
মেয়েটির অভিযোগ বিয়ের পর থেকে তারা শশুর, শাশুড়ি,ননদ, স্বামী অত্যাচার করতে থাকে। দিনদিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে তার উপরে, তবুও সহ্য করে দুমাস সংসার করে,পরবর্তীকালে শ্বশুরবাড়ির কথায় বাপের বাড়িতে যায়। আর সেই যাওয়াই হলো কাল। বাপের বাড়ি থেকে আনা দূরের কথা ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দিল শ্বশুরবাড়ির স্বামীসহ লোকজন। পরবর্তীকালে বৌমা একা তার শ্বশুরবাড়িতে চলে এলে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় মুখের উপরে, বার করে দেওয়ার ঘর থেকে। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে রামগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ছেলে এবং ছেলের বাবাকে অঞ্চল অফিসে মীমাংসার জন্য ডাকে,কিন্তু সেই মীমাংসা ক্ষেত্রেও হাজির হয়নি বাপ বেটা বলে প্রধান গৌরহরি বাগের অভিযোগ।
মেয়েটি পরপর কয়েক দিন সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত বসে। বাড়িতে উড়তে না পারার কারণে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত গৃহবধূর এই করুণ অবস্থা দেখে এলাকার কয়েকজন মহিলা ঘটনা জানতে বাড়ির ভিতরে যায় তাদের প্রতিও খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেন গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ।
শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামের কয়েক শতাধিক মহিলা ওই গৃহবধূকে সঙ্গে করে নিয়ে বাড়ির সামনে ঘর করার দাবিতে ধরনায় বসে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি চলে আসেন পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ , পুলিশ গৃহবধূ শশুর কে বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু কোন কথায় কান না দিয়ে তিনি তার কথায় অবিচল থাকেন।পাথরপ্রতিমা থানার প্রশাসন বাধ্য হয়ে ধর্নায় বসা গৃহবধূসহ অন্যান্য মহিলাদের ধর্না তুলে নিতে অনুরোধ করেন। থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে বলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct