আপনজন ডেস্ক: অসমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিল পাশের পর এবার গো সংরক্ষণ বিল নিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, অসমে গরুকে বাঁচাতে ও তাকে সংরক্ষণ করার লক্ষ্য নিয়েই সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে এই বিল আলোচনার জন্য পেশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই বিল পাশ হলে কোনও মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনও গোমাংস বিক্রি করা যাবে না। সেই সঙ্গে অসমের বাইরে থেকে অসমে কিংবা অসম থেকে অন্য রাজ্যে গরু যাওয়ার ব্যাপারে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে এই বিলে।
তার ফলে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের মেঘালয়ের মতো যেসব রাজ্যে গোমাংস অন্যতম খাদ্য সেই সব রাজ্যগুলি সমস্যায় পড়তে পারে। ইতিমধ্যে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, যদি অসমের এই আইনের কারণে তাদের রাজ্যে অন্য রাজ্য থেকে গবাদি পশু আসা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তারা হস্তক্ষেপ করবে। ‘ওই আইনে কি বলা হয়েছে সেটা আমাদের ভালো করে দেখতে হবে। বিলে কি বলা হয়েছে সেটা না জেনে কোনও মন্তব্য করব না। তবে, যদি দেখি যে এর ফলে মেঘালয়ের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাহলে আমাদের হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং কেন্দ্রকে আমরা সেটা বলব।’
গো সংরক্সণ বিল নিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, এই বিলে গবাদি পশুকে ‘জবাই’ করা, খাওয়া এবং গো পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যাপ্ত আইনি বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ এই আইন না মানেন তাহলে আইন অমান্যকারীর আট বছর পর্যন্ত জেল এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। কেউ যদি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করেন তাহলে তার জরিমানা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনে এই বিল আলোচনার জন্য পেশ করায় তা নিয়ে বেশ হইচই হয়।
এ বিল নিয়ে অল অসম মাইনরিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বলেছে, গোমাংসের জন্য এত কড়াকড়ি হলে কেউ কেউ তো বলবে মসজিদের কাছে শুয়োরের মাংস বিক্রিতেও নিষেধ করা দরকার। তখন সরকার কোন পথে যাবে।
অন্যদিকে, উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে যেখানে গরুর মাংস খাওয়া হয় অসম বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলে ওই সব রাজ্য মাংসের আকাল দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct