সেখ নুরুদ্দিন, সোনারপুর: রবিবার বেলা ১১টায় সোনারপুর শিশু বিকাশ একাডেমির ডিবেট হলে অনুষ্ঠিত হয় সোসাইটি ফর ইসলামিক এডুকেশনের উদ্যোগে সংবিধানের ৩০ ধারায় সংখ্যালঘুর অধিকার নিয়ে বিস্তর আলোচনা। এই আলোচনা সভায় শিশু বিকাশ একাডেমির কর্ণধার মুন্সী আবুল কাশেম এবার কলেজ গড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানান। মুন্সী আবুল কাশেম বলেন, একদিকে সংবিধানের ৩০ ধারা অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায় করতে হবে। অন্যদিকে সংবিধানের ৩০ ধারা অনুযায়ী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাই প্রাইমারি স্কুল থেকে হাইস্কুল গড়ার পর শিশু বিকাশ বিএড, ডিএড কলেজ গড়া হয়েছে। এবার ডিগ্রি কলেজ স্থাপন করতে সমস্ত প্রক্রিযা শুরু করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে অনুমোদন, বিল্ডিং, অর্থ, জমি সবই প্রস্তুত। ডিগ্রি কলেজ চালু হওয়া সময়ের অপেক্ষা। বিজ্ঞান শাখা সহ এই ডিগ্রি কলেজ সংখ্যালঘুদে জন্য উচ্চ শিক্ষর পথে অন্যতম সহায়ক হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন। এর পর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গীকার করেন। এদিনের আলোচনায় সভায় বিভিন্ন বক্তা সংবিধানের ৩০ ধারার বৈশিষ্ট্য ও বাস্তবায়ন নিয়ে বলার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি করে সচেতন হওয়ার কথা বলেন।
বিশিষ্ট জয়েন্ট শিক্ষক নাইমুল হক বলেন, একটা বাচ্চা খিদে পেলে কাঁদে। তাই সচেতন না হলে দাবি আদায় করা যাবে না। সংবিধানের ৩০ ধারার সচেতনতায় তিনি ওয়েবিনার করারর আহ্বান করেন।
প্রাক্তন অবর পরিদর্শক আবদুল আওয়াল বলেন, মুন্সী আবুল কাসেম শিক্ষার যে ক্ষেত্র স্থাপন করেছেন, তাতে সংবিধানের ৩০ ধারা মেনে কেজ টু পিজি শিক্ষার ব্যবস্থার পথে এগিয়ে চলেছে। সেই প্রচেষ্টাকে সার্তক করে তুলতে হবে। প্রাক্তন রেল অফিসার কাজী হেদায়েতুল্লাহ বলেন, সূচনা লগ্ন থেকে দেখে এসেছি, কাশেম সাহেবের স্বপ্ন ছিল সব শ্রেণির মানুষের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবায়িত হতে চলেছে। বিশিষ্ট শিক্সক-সমাজকর্মী রুহুল আমিন বলেন, সংবিধানের ৩০ ধারার বাস্তবায়নে তরুণ সমাজকে আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে আইন লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তবে এ সবের সঙ্গে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত কোয়ালিটি এডুকেশন যার মাধ্যমে সমাজ এগিয়ে যাবে।
প্রাক্তন ইংরেজি শিক্ষক ও হজ বিশেষজ্ঞ হাজি রজব আলি বলেন, ইসরামি শিক্সার সঙ্গে তাল মিরিযে মিশু বিকাশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তা উচ্চশিক্খার ক্ষেত্রে একই ধারা বজায় রেখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। ষংবিধানের ৩০ ধারা অনুযায়ী আরও বেশি করে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান গড়ার ডাক দেওয়া হয় আলোচনা সভায়। আলোচনায় বিশিষ্টজনদের মধ্যে হাজির ছিলেন ইয়াকুব মোল্লা, , আখের সরদার, আবু সিদ্দিক, খালিদ হোসেন, ইমদাদউদ্দিন, গৌারাঙ্গ, সৈয়দ আনসারি, গোলাম মোর্তজা, মঞ্জুবান, মেজাম্মেল মোল্যা, সিকান্দার মণ্ডল, জালালিউদ্দিন, নুরুল হক, আমরাফ মোল্লা, প্রধান শিক্ষক মূন্সী ফারুক আহমেদ,অধ্যাপক মুন্সী রাকিব প্রমুখ। সভার সুচারু সঞ্চালনা করেন ওবায়দুল্লাহ সরদার।
ছবি: পার্থ কুশারী
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct