আপনজন ডেস্ক: ফুটবল কী তাহলে আসলেই ঘরে ফিরছে! ফুটবল খেলা আবিষ্কার করেছিল যারা, সেই ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর আর কখনো বড় কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা হয়নি। সব বড় টুর্নামেন্টেই ‘ইটস কামিং হোম’ স্লোগান তুলেন ইংলিশ সমর্থকেরা। কিন্তু ফুটবলের আর ঘরে ফেরা হয় না। এবার ইউরোতে অবশ্য স্বপ্ন সত্যি করার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ইংল্যান্ড দল। ঘরে ফেরার পথে ফুটবল এখন একেবারে দুয়ারে বলা যায়। দুর্দান্ত খেলতে থাকা ডেনমার্কের রূপকথার মতো পথচলা থামিয়ে দিয়ে ইউরোর ফাইনালে উঠে গেছে ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। গোল করেছেন হ্যারি কেইন, অন্য গোলটা ডেনমার্কের সিমোন কায়েরের আত্মঘাতী। ওদিকে ডেনিশদের হয়ে গোল করেছেন মিকেল ডামসগার্ড।
প্রথম থেকেই আক্রমণ করা শুরু করে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১২ সেকেন্ডেই ফ্রিকিক পেয়ে বসেন রহিম স্টার্লিং। ইউরোর প্রত্যেক ম্যাচেই শুরুর দিকে গোল পেয়েছে ইংল্যান্ড, এ ম্যাচেও লক্ষ্য ছিল সেটাই। ১৫ মিনিট পর্যন্ত ইংল্যান্ডই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে, প্রেস করতে থাকে। ডেনমার্ক ধাতস্থ হতে সময় নেয় ততক্ষণ। ২৯ মিনিটে সেন্টারব্যাক আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেনকে ইংল্যান্ডের লেফটব্যাক লুক শ ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দর্শনীয় এক গোলে ডেনমার্ককে এগিয়ে দেন এই ইউরোতে আলো ছড়ানো ফরোয়ার্ড মিকেল ডামসগার্ড। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মত শুরুতে গোল হজম করল ইংল্যান্ড।
গোল হজম করলেও হতাশ হয়নি ইংলিশরা। বরং মুহুর্মুহু আক্রমণে বিপর্যস্ত রাখে ডেনিশ রক্ষণভাগকে। ৩৮ মিনিটে স্টার্লিংয়ের এক শট দুর্দান্তভাবে আটকে দেন গোলকিপার কাসপার স্মাইকেল। কিন্তু এর ৪৮ সেকেন্ডের মাথায় লেফট উইঙ্গার বুকায়ো সাকার ক্রস পাঠান বক্সে থাকা স্টার্লিংয়ের উদ্দেশ্যে। সেখানে পা ঠেকিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান ডেনিশ অধিনায়ক সিমোন কায়ের। ৩৯ মিনিটে সমতায় আসে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে মাঝমাঠে দখল বাড়ানোর জন্য বাড়তি মিডফিল্ডার নরগার্ডকে মাঠে নামান ডেনিশ কোচ কাসপার হিউলমান্দ। মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় কাসপার ডলবার্গ ও গোলদাতা ডামসগার্ডকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct