আপনজন ডেস্ক: বুধবার রাজ্যে তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বাজেট পাশ হল বিধানসভায়। অসুস্থতার জন্য এবারও বাজেট পেশ করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তার পরিবর্তে বাজেট পেশ করেন শিল্প তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি বিধানসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে এদিন সরব হয়েছিলেন তিনি। তাতে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, কেন্দ্র দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৭ কমেছে। রাজ্যে ১.২ শতাংশ বেড়েছে। ভারতে রাজস্ব ঘাটতি ৯.৩ শতাংশ। বাংলায় ৩.৮৬ শতাংশ। তাই কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলা এগিয়ে। একশো দিনের কাজে দেশের মধ্যে এক নম্বরে বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, ২০২০-২১ সালের বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। যা ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৭২৭ কোটি হয়েছে। ২০.৭ শতাংশ বেড়েছে। বেসরকারি বাসের রোড ট্যাক্স মকুব করা হবে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ২,০০০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসাথীতে ১,৯০০ কোটি টাকা। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। আর অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে ও ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দুয়ারে সরকার হবে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে বাজেট পেশ করেন তাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সহ নানা নীতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের চরম সমালোচনা শোনা যায় । তবে, এবারের বাজেটে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ২৬,৭৫৫.২৬ কোটি টাকা। রাজ্যের জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি প্রকল্প বছরে দুবার হবে। একটি দুয়ারে সরকার আর অন্যটি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী মস্তিষ্কপ্রসূত এই দুই প্রকল্প ছাড়াও আরও দুটির কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেটি দুটি হল কৃষকবন্ধু প্রকল্প ও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড স্কিম। বাজেটে আগামী পাছ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্য বাজেটে পরিবহণ ক্ষেত্রে রোড ট্যাক্সে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছ। বিভিন্ন খাতে যেসব বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কৃষি বিভাগের জন্য ৯১২৫ কোটি, কৃষি বিপণন বিভাগের জন্য ৩৯১.৯৩ কোটি টাকা, খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের জন্য ১২, ২৯৩.১৭ কোটি টাকা, খাদ্য প্রক্রিয়া করণ ২২০.৮৯ কোটি টাকা, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন ১১২২১.৮৩ কোটি টাকা, মৎস্য বিভাগ ৪২৬.৫৮ কোটি টাকা, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন ২৩৯৮৩.২৭ কোটি টাকা , সেচ ও জণপথ পরিবহণ ৩৬৪৭.০৩ কোটি টাকা, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন ৬৭২.২১ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র ১১৪৪.৭৭ কোটি টাকা, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক ১১,৯৩৮.৯০ কোটি, জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্তাগার ৩৮১.৩৬ কোটি টাকা, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ৪৭৭৭.৮২ কোটি টাকা প্রভৃতি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct