আপনজন ডেস্ক: একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মিষ্টি কুমড়ো খান। এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্য উপকারিতা। মিষ্টি কুমড়ো ভিটামিন এ, বি-কমপ্লেক্স, সি এবং ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, ক্যারটিনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের ধারক। এছাড়াও বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ গঠন করে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আরও জেনে নিন মিষ্টি কুমড়োর উপকারিতা সম্পর্কে- প্রথমত, এটি চোখের জন্য খুব কার্যকরি। এককাপ পরিমাণ রান্না করা মিষ্টি কুমড়ো আমাদের চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অন্যান্য খাবার থেকে ১০০ গুণ বেশি কাজ করে। বিটাক্যারোটিন ও আলফা-ক্যারোটিনের মতো ক্যারটিনয়েডসমূহ চোখের ছানিপড়া রোধসহ চোখের রেটিনা কোষ রক্ষা করে। তাই চোখকে সচল ও সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়ো যোগ করুন। মিষ্টি কুমড়োয় থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যেটা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কম রাখতেও ভূমিকা পালন করে। আর্টারির দেওয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা প্রদান করে। ফলে মিষ্টি কুমড়ো নিয়মিত খেলে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা যায়। কুমড়োর বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজে উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে। তাই প্রতিদিন কুমড়োর বীজ খাওয়ার অভ্যাস করুন। কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার মিষ্টি কুমড়ো ওজন কমাতে একটি উপযুক্ত খাবার। মিষ্টি কুমড়োর উচ্চ পটাসিয়াম কন্টেন্টও খুব সুন্দরভাবে আপনার শরীরের বাড়তি মেদটুকু সযত্নে ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিব্রত তারা নিঃসন্দেহে কুমড়ো খেতে পারেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct