আপনজন ডেস্ক: শরীরে ঘাম হওয়া এবং দুর্গন্ধ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। বিশেষ করে গরমের এই সময়টাতে। ধুলাবালি, ঘামের মাধ্যমে শরীরে দুর্গন্ধ হতে পারে। এটি নিজের কাছে যেমন অস্বস্তিকর ব্যাপার। মানুষের ত্বকে দুই ধরণের গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি থেকে ঘামের উৎপত্তি হয়। শরীরচর্চা বা পরিশ্রমের ফলে উৎপন্ন ঘাম তৈরি করে একরিন নামক গ্রন্থি। এই ঘামে কোনো দুর্গন্ধ নেই। বরং তা শরীরকে ঠান্ডা রাখে। অন্য গ্রন্থটি হলো অ্যপোক্রিন গ্রন্থি। যেটি বগল ও গোপনাঙ্গের আশপাশে থাকে। অবাঞ্ছিত লোম থেকে উৎপন্ন ঘামে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন থাকে। এতে প্রথমে দুর্গন্ধ না থাকলেও ব্যাকটেরিয়ার কারণে পরে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। ব্যাকটেরিয়া ক্ষুদ্র হলেও বেশ শক্তিশালী কারণ তারা সেই বিশেষ প্রোটিনটি ব্যবহার করে। তবে খুব সহজেই শরীরে দুর্গন্ধ দূর করতে পারেন। এজন্য ডিওডোরেন্ট ও অ্যান্টি-পার্সপির্যান্ট সুগন্ধি ব্যবহার করে অনেকেই ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার চেষ্টা করেন। ডিওডোরেন্ট দুর্গন্ধকে আড়াল করে রাখে। এতে ব্যাকটেরিয়া রোধ করে এমন কিছু উপাদানও থাকে। অ্যান্টি-পার্সপির্যান্ট ঘামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। বাজারের ডিওডোরেন্টগুলো নানান সুগন্ধি দিয়ে তৈরি হলেও, এর মধ্যে থাকে প্রচুর কেমিকেল। যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য বাড়িতে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন পছন্দমতো ডিওডোরেন্ট। বহু শতাব্দী থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে ব্যবহার হয়ে আসছে বেকিং সোডা। এর এমন বৈশিষ্ট্য আছে, যা ঘাম শোষণ এবং দুর্গন্ধ দূর করতে করতে সহায়তা করে। এছাড়া রয়েছে শিয়া বাটার। এই উপকরণটি রান্নার কাজে যেমন ব্যবহার করা হয় তেমনি ওষুধি এবং সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য। সৌন্দর্যচর্চায় মোমের ব্যবহার বহুকাল আগে থেকেই। এটি ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে এবং মসৃণ করে। চুলের পাশাপাশি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী নারকেল তেল। এটি শরীরের দুর্গন্ধ শোষণ করে এবং দূর করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ নারকেল তেল নিয়ে শরীররে যে যে অংশে বেশি মাত্রায় ঘাম হয়। সেখানে লাগালেই দেখবেন অল্প সময়েই ঘামের গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct