নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: রাজ্য জুড়ে চলছে ভারী বর্ষণ। আর ভারী বর্ষণের ফলে ভয়ঙ্কর জল বাড়ছে ফুলহর নদীতে। ভাঙ্গন শুরু হয়েছে নদীতে।নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে কয়েক বিঘা জমি। এলাকা পরিদর্শন করলেন অঞ্চল প্রধান। দ্রুত বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা না করলে বড়োসড়ো ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে ফুলহার নদী। এই নদীর তীরে রয়েছে দৌলত নগর এবং ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভারী বর্ষণের ফলে ক্রমশ জল বাড়ছে নদীতে। আর তার ফলে গত তিন-চার দিন ধরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ফুলহার নদীতে। ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে প্রায় চার বিঘা জমি। দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ না করলে বন্যার কবলে পড়তে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে কয়েকটি গ্রাম। সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা-সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাজুড়ে ভয়ঙ্কর হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি। প্রবল আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। বাঁধ সংস্কারের জন্য কাতর আর্জি রাজ্য সরকারের কাছে। এদিকে নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়েই এদিন এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন দৌলত নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নাজিবুর রহমান। প্রধানের গলাতেও শোনা যায় আতঙ্কের সুর। তিনিও কার্যত মেনে নেন দ্রুত বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু না করলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। কারণ বর্ষা এখনো বাকি। দিনের পর দিন জল বাড়ছে নদীর। তবে প্রধান আশ্বাস দেন তিনি প্রশাসনের উচ্চ স্তরে জানাবেন। যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে এলাকাকে বাঁচানোর জন্য যথা-সম্ভব তিনি ব্যবস্থা করবেন।
দৌলতনগর নগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নাজিবুর রহমান বলেন,” নদী ভাঙনের খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলাম। পরিস্থিতি যথেষ্ট ভয়াবহ। দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু না করলে দৌলত নগর এবং ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু গ্রাম, তেল চান্না সুইচগেট, উত্তর-ভাকুরিয়া, দক্ষিণ-ভাকরিয়া, ভালুকা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে কৃষি কাজের। বন্যার কবলে পড়তে পারে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। আর বিধায়ক এবং সেচ দপ্তর কে জানাব। যাতে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হয় সেই ব্যবস্থা করব।”
তেলচান্না বাসিন্দা মোহাম্মদ নাসির বলেন,” চারদিন ধরে নদী ভাঙ্গন চলছে। ইতিমধ্যে কয়েক বিঘা জমি তলিয়ে গেছে। এখন কাজ না শুরু করলে বহুগ্রাম ভেসে যাবে। আজ প্রধান পরিদর্শনে এসেছিলেন। আমরা সাথে ছিলাম। সরকারের কাছে আবেদন করব যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।”
রামায়ণপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা বীরেন রাম বলেন,” নদীর জল ক্রমশ বাড়ছে। ভাঙ্গন শুরু হয়েছে নদীতে । কাটতে শুরু করেছে জমি। গতবার থেকেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছিল। গত তিন-চার দিনে ভাঙ্গন বেশি হচ্ছে। এটাই চাইবো সময় থাকতে যাতে সরকার ব্যবস্থা নেয়।
ফুরহার বাঁধের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। এলাকাবাসী ও বহুদিন ধরে এই বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখনও শুরু হয় নি সেই কাজ। ফলে কার্যত দরজায় কড়া নাড়ছে বিপদ। সরকারের উচিত দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। না তো বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়বে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct