ফৈয়াজ আহমেদ: গ্রিনহাউস বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তন এনেছে। যদি কেউ সঠিকভাবে গ্রিনহাউস প্রস্তুত করতে এবং তার রক্ষনাবেক্ষন করতে পারে, তবে তারা খুব কম জায়গায় অনেক বেশি পরিমানে সবজি ও অন্যান্ন কৃষিজ ফসল উৎপাদন করতে পারে। আর সেই কারনে এই গ্রিনহাউস বর্তমানে প্রচুর পরিমানে ব্যাবহার করা হচ্ছে। সেই কারনে বর্তমানে গ্রিনহাউসকে ব্যাবসার একটি মাধ্যম হিসেবে ধরা হচ্ছে। আর এই মাধ্যমে প্রচুর তরুন উদ্যোক্তারা ব্যাবসা শুরু করছে এবং প্রচুর পরিমানে অর্থ উপার্জন কড়ছে।
তবে গ্রিনহাউসের ব্যাবসা শুরু করতে গেলে বেশ কিছু বিষয়ে আমাদের ভাল করে জানতে হবে। তার কারন হল এই ব্যাবসার কাজকর্ম খুবই সহজ হলেও, এই ব্যাবসার কাজকর্মে অনেকগুলি ছোট ছোট পদক্ষেপ থাকে। আমরা গ্রিনহাউস ব্যাবসা শুরু করার কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে আলচোনা করব।
১) জমি বাছাই:
গ্রিনহাউস ব্যাবহার করে কম জায়গায় অনেক বেশি উৎপাদন করা যায় এটা ঠিক। এমনকি ছাদেও এটা করা যায়। তবে একদমই জমি না থাকলে এই কাজ অসম্ভব।
২) পর্যাপ্ত জলের ব্যাবস্থা:
গ্রীন হাউস তৈরির আসেপাশে অবশ্যই পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। না থাকলে ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) পুঁজির জোগান:
আপনি যদি সঠিক পরিমান অর্থ সংগ্রহ না করতে পারেন তাহলে আপনি কনভাবেই গ্রিনহাউস ব্যাবসা শুরু করতে পারবেন না।
গ্রিনহাউস ব্যাবসার সুবিধা
১) যে কোনও ঋতুর ফসল:
গ্রিনহাউসের ব্যাবসায় যে কাঁচের ঘর বা গ্রিনহাউসের মধ্যে আমরা কৃষিকাজ করে থাকি সেখানে প্রাকৃতিক শক্তির সর্বাধিক ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। তাই এই গ্রিনহাউসের মধ্যে ইচ্ছে করলে সেই সকল ফসলও ফলান যায় যা সাধারনত বছরের অন্য সময়ে ফলে। আপনি যদি এইরকমভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারেন, তবে আপনি অনেক লাভবান হবেন।
২) উৎকৃষ্ট মানের ফসল:
গ্রিনহাউসে চাষ করার একটি বিশেষ সুবিধা হল আপনি সরাসরি প্রাকৃতিক শক্তির ব্যাবহার না করে তাকে এমন ভাবে ব্যাবহার করা হয় যে তা সবচেয়ে বেশি কার্যকরীভাবে ফসলের উপর প্রভাব ফেলে। তাই আপনার গ্রিনহাউসে তৈরি ফসল, অন্যান্ন ফসলের চেয়ে বেশি উৎকৃষ্ট হয়।
৩) পোকামাকড়, জীবাণু ও রোগের নিয়ন্ত্রন:
গ্রিনহাউসের মধ্যে কৃষিকাজ করার আর একটি সুবিধা হল এই যে যেকোনো পোকামাকড় বা অন্যান কোন জীবজন্তু সহজে ফসলের সংস্পর্শে আসে না। ফলে জীবাণু ও রোগের প্রভাবও আপনার ফসলে খুবই কম প্রভাব ফেলতে পারে।
গ্রিনহাউস ব্যাবসার অসুবিধা
১) পর্যাপ্ত অর্থের জোগান:
একটি গ্রিনহাউস একদম প্রথম থেকে তৈরি করা একটি বেশ কষ্ট সাধ্য কাজ। আর সেই কারনে এই কষ্টসাধ্য কাজকে পরিনাম দেওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজনও প্রচুর। তাই এই ব্যাবসা শুরু করতে গেলে আপনাকে বেশ খানিকটা অর্থবল নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে। কারন অর্থবল না থাকলে আপনি ঠিকমত গ্রিনহাউসটি প্রস্তুত করতে পারবেন না যা আপনার ফসলের উপর প্রচুর প্রভাব ফেলবে।
২) প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা:
গ্রিনহাউসে চাষ করতে গেলে আপনাকে সেই চাষের প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত হতে হয়। শুধু অবগত হলেও কাজ চলবে না। আপনাকে বা আপনার কর্মচারিকে সেই কাজে দক্ষ হতে হবে। আর তা যদি না হয়, তবে আপনি কোন ভাবেই উচ্চ গুন্মানের ফসল উৎপাদন করতে পারবেন না।
এ ছাড়াও আরও অনেক বিষয় আছে যা একটি গ্রিনহাউস ব্যাবসা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন। তবে উপরক্ত বিষয়গুলি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে সেগুলিকে উপেক্ষা করে থাকলে কোনভাবেই আপনি এই ব্যাবসা শুরু করতে পারবেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct