জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদ: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন মুর্শিদাবাদের নবাব সিরাজ- উদৌল্লা সমিতির অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল রউফ খান। বিশিষ্ট সমাজসেবী, প্রাক্তন সেনা কর্তা, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক অফিসার এ আর খান নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। বুধবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর একটি বেসরকারি হাসাপাতালে বুধবার গভীর রাতে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যু কালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর পরিবার সূত্রে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ শহরের জাফরাগঞ্জ সমাধিক্ষেত্রে তাঁর দাফন করা হয়। চোখের জলে এদিন তাঁকে অজস্র মানুষ শ্রদ্ধা ও শেষ বিদায় জানান। তাঁর জানাজায় এদিন ছিল ভিড়ে ঠাসা। তাঁর মৃত্যুতে মুর্শিদাবাদসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ আর খান একজন সমাজসেবী, কবি ও লেখক হিসাবে তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। রেল সহ মুর্শিদাবাদ জেলা ও শহরের উন্নয়নের জন্য তিনি তাঁর দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যান। ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ শহরে নেতাজী সুভাষ কলেজ, মুর্শিদাবাদের রেলপথকে উন্নত করতে এ আর খান বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। মুর্শিদাবাদ রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়শন তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতু ও আমানিগঞ্জ- ভাগীরথী সেতু নির্মাণের জন্য। নশিপুর রেলসেতু নির্মানের দাবীতে লাগাতার আন্দোলন করেছেন খান সাহেব।
তিনি ছিলেন নবাব সিরাজ-উদ্দৌলা সমিতির অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা। মুর্শিদাবাদকে পর্যটনে উন্নীত করতে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেন জঙ্গীপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, বাম গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা মোজাফ্ফর হোসেন, এসডিপি আই রাজ্য সভাপতি তায়েদুল ইসলাম এবং প্রাক্তন এমএলএ মনোজ চক্রবর্তী প্রমুখ্।