রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ: অনলাইন টেন্ডারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ তছরূপ করার অভিযোগ উঠল এক প্রধানের বিরুদ্ধে। পঞ্চদশ অর্থ পরিকল্পনার লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপ করার অভিযোগ তুলে জেলাশাসক ও মহকুমা শাসক ও স্থানীয় বিডিও দ্বারস্থ হলেন বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ ওঠার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুশিদাবাদের সুতি ১ নম্বর ব্লকের হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রধানের বিরুদ্ধে ব্লকের যুগ্ম বিডিও সহ তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বিকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান নিবেদিতা ঘোষ। জানা গিয়েছে, হারুয়া পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি পাড়ার আসলাম সেখের বাড়ি থেকে গুলজার সেখের বাড়ি পর্ষন্ত পঞ্চদশ অর্থ পরিকল্পনার অর্থে সড়ক নির্মার্ণের জন্য অনলাইন টেন্ডারের নোটিশ জারি করে পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি। সেই মতো ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫২৮ টাকার বরাদ্দ টেন্ডারে ৯ টি ঠিকাদারি সংস্থা অংশ গ্রহণকরে। তার মধ্যে সর্ব নিম্ন দরপত্র দেয় পাইলট ইন্টারপ্রাইজ।
সেই মতো পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি ও প্রধান নিবেদিতা ঘোষ পাইলট ইন্ডারপ্রাইজকে কাজ করার অনুমতি প্রদান করে। ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫২৮ টাকার বরাদ্দ কৃত টেন্ডারে সব চেয়ে কম দরপত্র দেওয়ায় ঠিকাদারী সংস্থাটিকে উক্ত কাজ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৯ টাকার মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণকরার দরপত্র প্রদান করায় সরকারি অর্থ ১ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকা বেঁচে যায়। অভিযোগ পাইলট ইন্টারপ্রাইজ কে সেই অর্থ প্রদান না করেই উক্ত কাজের দরপত্রে ৮ নং স্থানে থাকা রাকিবুল্লা ইন্টারপ্রাইজকে বরাদ্দ কৃত ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগকারী নবাব সেখ অভিযোগ করেন, প্রধান নিবেদিতা ঘোষ ও পঞ্চায়েতের কর্মীদের যোগ সাজশে অবৈধ ভাবে সরকারি অর্থ তছরুপ করা হয়েছে। সরকারি অর্থ এমন ভাবে লুট তরাজ চালানো হচ্ছে। পরিকল্পনা মাফিক একজন ঠিকাদারকে কাজের বরাদ দিয়ে অন্য কোন ঠিকাদারি সংস্থাকে কাজের অর্থ প্রদান করে লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি অর্থ নয়ছয় করা হচ্ছে।
শুধু এমন একটি কাজ নয় পঞ্চায়েতের সমস্ত সড়ক নির্মাণ হোক বা অন্য কোন উন্নয়ন মূলুক কাজ সমস্ত কাজেই প্রধান সহ পঞ্চায়েত কর্মীরা সরকারি অর্থ তছরুপেরও অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করে প্রধান নিবেদিতা ঘোষের স্বামী সুজিত কুমার ঘোষ বলেন যারা অভিযোগ করেছে তারা প্রধানকে কালিমালিপ্ত করতেই এমন অভিযোগ করেছে। দরপত্র যে ভাবে করা হয়েছে ঠিক সেই ভাবে কাজ করা হয়েছে। সরকারি নিয়োম মোতাবেক যে টেন্ডার করে তার অর্থ প্রদান করা হয়েছে। কোন রকম বেনিয়ম করা হয়নি। দুই ঠিকাদারি সংস্থার একত্রে চলছিল তাদের কাজ, তাদের বনিবনা না হওয়ায় মতপার্থক্যর হয় তার জেরে পরিকল্পনা করে মিথ্যা অভিযোগ করেছে একটি ঠিকাদারি সংস্থা দাবী প্রধানের স্বামীর। সুতি ১ এর বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক বলেন অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার সসততা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ব্লকের যুগ্ম বিডিও সহ তদন্ত কমেটি গঠন করে তদন্ত করা হবে। দোষী হলে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা বলে জানান বিডিও। জেলা শাষক সহ জঙ্গিপুর মহুকুমা শাষক ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় বিডিও কে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct