আসাদুল ইসলাম, কলকাতা: না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সাহিত্যিক নুরুল আমিন বিশ্বাস। বুধবার তিনি চিরবিদায় নিলেন। (ইন্না লিল্রাহি...)। সাপ্তাহিক নতুন গতিতে দীর্ঘ কুড়ি বছরের কর্মজীবনে অনেকে এসেছেন চলে গেছেন। কিন্তু সহকর্মী হিসেবে কাজ করতে করতে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চিরদিনের জন্য কেউ চলে যাননি। ব্যতিক্রম বিশ্বাসদা। বেপরোয়া, সোজা কথা সোজাভাবে বলা মানুষ। পড়ে রইলো শুধু স্মৃতিটুকু। এভাবে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন স্বপ্নেও ভাবিনি। অবশেষে চিরবিদায় নিলেন নুরুল আমিন বিশ্বাস।( ৫ আগষ্ট ১৯৫৬- ৩০ জুন ২০২১)। তাঁর মৃত্যুতে সাহিত্য ০সাঙবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানার খাজুরিয়া গ্রামের ভূমিপুত্র। স্নাতক। টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং -এ ডিপ্লোমা। ভারতীয় নৌসেনা বিভাগে চাকরি শেষ করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় আধিকারিক হিসেবে চাকরি করেছেন। পাশাপাশি আজীবন রত থেকেছেন সাহিত্য চর্চায়। রজ্যের প্রথম সারির প্রায় সব দৈনিক পত্রিকা সহ শতাধিক পত্র-পত্রিকায় লিখেছেন। প্রায় তিন দশক ধরে সম্পাদনা করেছেন ‘অন্য শাব্দিক’ নামে উন্নতমানের পত্রিকা। এই পত্রিকা সম্পাদনার জন্য সাপ্তাহিক নতুন গতি তাঁকে লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কারে পুরস্কৃত করেছিল ১৯৯৬ সালে। প্রধানত তিনি কবি হলেও প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন সমান দক্ষ। প্রবন্ধ, উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, কাব্যগ্রন্থ মিলে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০ টির বেশি। চলতি বছরে তাঁর আরও ৬ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। যাঁর মধ্যে নতুন গতি প্রকাশনী থেকে একটি গ্রন্থ গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়েছে, অন্য একটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাওয়া গ্রন্থ বিখ্যাত শিল্পপতি-সমাজসেবী মোস্তাক হোসেনের জীবনী।
বহরমপুর শহরে দীর্ঘ দিন বসবাস করেছেন। বর্তমানে তিনি সাপ্তাহিক নতুন গতি পত্রিকায় বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সূত্রে সপরিবারে থাকতেন কলকাতাতেই। মাস তিনেক আগে তিনি দাঁতের অসুখে আক্রান্ত হন। সম্প্রতি জানা যায় তিনি কর্কট রোগে আক্রান্ত। এত দ্রুত তিনি না-ফেরার দেশে পাড়ি দেবেন, তাঁর স্বজন,সাহিত্য অনুরাগী থেকে সহকর্মী কেউ-ই বুঝতে পারেননি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct