সজিবুল ইসলাম, জলঙ্গি: সাদিখাঁন দেয়ার স্কুল মোড় থেকে ফকিরাবাদ পর্যন্ত চলাফেরার অযোগ্য রাস্তা প্রায় ১৩ কিলোমিটার। বাম আমলে এই রাস্তা হয়েছে তার পর থেকে কোনো খোজ খবর কেউ নেয়নি বলে অভিযোগ। একাধিক বার পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের মেম্বারকে জানানো হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি রাস্তার বলে স্থানীয়দের দাবি।
এই রাস্তা বয়ে আসতে হয় হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ ডিএলএড, বিএড, পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু করে বিডিও অফিস, থানা সবই, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে গেলেও এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয় মানুষ থেকে চালকদের।
এক টোটো চালক জানান যে এই রাস্তায় গরু ছাগল চলার মতো অবস্থা নেই বলে অভিযোগ করেন।আর কত দিন নেতা কর্মীরা তাদের পেট ভরবে তবেই গার যদি সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কাজ করেন সেই দিনের অপেক্ষায় বসে আছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এক ব্যক্তির অভিযোগ, এই সাদিখাঁন দেয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে, আছে তাদের কোনো কাজ করার কথা মাথায় আসে না, আসলে এরা সাধারণ মানুষের কাজ করার জন্য রাজনীতি করেন না নিজেদের পকেট ভরতে ব্যস্ত। কিছু বলতে গেলে আবার বলেন যে কারো ভোট ক্ষমতায় আসীন তাই কাজ করার কোনো বাধকতা নেই এমনি ও কথা শুনতে হয় সমস্যার কথা জানালে। এমনকি এই রাস্তায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিন জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি ইউসুফ আলী জানান, ওই রাস্তায় আমার বাড়ি ,আমাকে ওই রাস্তা দিয়ে অফিসে আসতে হয়, প্রায় কুড়ি হাজার মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত ওই রাস্তা দিয়ে। রাস্তাটি জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদের সদস্যা সৈয়দ রাফিকা সুলতানা আছেন। তার এরিয়ার মধ্যে পড়ে সাদিখাঁন দেয়ার অঞ্চলের ওই রাস্তাটি। কিন্তু তিনি উন্নয়ন করার পরিবর্তের দলের রাজনীতির দিকে বেশি মন দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য কাজে মন নেই।
ইউসুফ আলী আরো জানান, যে ওই রাস্তার পরিদর্শন করেছি বিডিও শোভন দাস সহ বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে। সকলেই আশ্বাস দিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। সেই চেষ্টা করবেন বিডিও সহ বিধায়ক বলে জানান সহসভাপতি।
যদিও জেলা পরিষদের সদস্যা সৈয়দ রাফিকা সুলতানা জানান ‘আমাকে কোনো কাজ করতে দেওয়া হয়নি। তাই সাধারণ মানুষের উন্নয়ন করতে পারিনি। আমি একাধিকবার জেলা পরিষদে জানিয়েছি এই রাস্তার ব্যাপারে।’ এই রাস্তা নিয়ে একাধিকবার আন্দোলন বিক্ষোভ হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এলাকা থেকে পথচলতি মানুষ ভালো রাস্তার অপেক্ষায় বসে আছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct