আপনজন ডেস্ক: সুইডেন–ইউক্রেন ম্যাচ। দুই দলের নাম দেখে যদি খেলা না দেখে থাকেন তাহলে আপনি ঠকেছেন। গ্লাসগোর দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচটি যে জমজমাট ফুটবল লড়াই উপহার দিয়েছে। আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণ, গোল–পাল্টা গোল, কখনো গোলরক্ষক, কখনো পোস্টের বাধা হওয়া, লাল কার্ড, অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচের অতিরিক্ত সময় শেষে যোগ করা সময়ে গোলে জয়—রোমাঞ্চকর ফুটবল বলতে যা বোঝায় সেটিই দেখেছেন হ্যাম্পডেন পার্কের দর্শক।
নকআউট পর্বের ম্যাচ। এক দলকে জিততেই হবে, বিদায় নিতে হবে আরেক দলকে। সেই ম্যাচ ২–১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইউক্রেন। ৩ জুলাই রোমে শেষ আটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে আন্দ্রিই শেভচেঙ্কোর দল।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১–১ গোলে সমতায় ছিল ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ের শেষ ২২ মিনিটে ১০ জন নিয়ে খেলা সুইডেন ম্যাচটিতে টাইব্রেকারে নিয়েই গিয়েছিল। কিন্তু ১২০ মিনিটেরও পরে যোগ করা সময়ে সুইডিশদের সর্বনাশ। ইউক্রেনের বদলি খেলোয়াড় আর্তেম দোভবিক জিনচেঙ্কোর দারুণ এক ক্রসে দুই সুইডিশ ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বেরিয়ে হেড গোল করে দলকে শেষ আটে নিয়ে যান।
ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর পর আট মিনিটে ইউক্রেন ফরোয়ার্ড আর্তেম বেসেদিনকে মারাত্মক এক ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সুইডেনের ডিফেন্ডার মার্কাস দানিয়েলসন। প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআরের সাহায্য নিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি।
১০ জন নিয়ে খেলেও ম্যাচটাকে টাইব্রেকারে প্রায় নিয়েই গিয়েছিল সুইডেন। কিন্তু হলো না। জিনচেঙ্কোর অসাধারণ ক্রস আর দোভবিকের হেড টাইব্রেক নামের লটারি হতে দিল না। ম্যাচের প্রথম দুটিই গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ২৭ মিনিটে প্রথম গোলটি করে ইউক্রেন।
ইউক্রেন অধিনায়ক আন্দ্রি ইয়ারমোলেঙ্কো ডান পাশ থেকে দেওয়া দারুণ এক ক্রস পেনাল্টি বক্সের বাঁ প্রান্তে পেয়ে যায় ওলেক্সান্দর জিনচেঙ্কোকে। ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের বাঁ পায়ের প্রচণ্ড গতির হাফ ভলিতে সুইডিশ গোলরক্ষক হাত লাগিয়েও গোল বাঁচাতে পারেননি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct