মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: দশ মাস দশ দিন গর্ভধারণ করে যে এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে সেই মা আর এই পৃথিবীতে নেই। তাই সৎ মায়ের অত্যাচার বাড়িছাড়া এক বালক পুলিশের সহযোগিতায় আপাতত সরকারি হোমে ওই নাবালক। দু বছর বয়সে মাকে হারিয়েছে তারপরেই বাবা আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ে করার পর থেকেই তার ওপরে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালায় সৎ মা বাড়ি ছেড়ে মামার বাড়ি আসার পরেও জায়গা হল না ওই নাবালকের। সকাল থেকে রাস্তার ঘুরে ঘুরে পেটে নেই দানা পানি। তারপরে সন্ধ্যা নেমে আসার পরেই রেল স্টেশনের ঘুরাঘুরির সময় নজরে পড়ে রেল পুলিশের। তারপরেই জিজ্ঞাসা শুরু করলে চলে আসে সৎ মায়ের অত্যাচারের কথা দুই চোখ দিয়ে ঝরছে জল। সহযোগিতায় আপনারা তো একটু ঠাঁই এর জায়গা মিলেছে সরকারি হোমে। সৎ মায়ের অত্যাচার মামা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত বালক। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে জিআরপি তত্ত্বাবধানে পৌঁছাল সরকারি হোমে। বছর ১৫ এক নাবালকের সাথে অমানবিক ঘটনায় চাঞ্চল্য ওই কিশোরের বাবার নাম কমল পালের প্রথম পক্ষের তিন বছর বয়সেই মারা যায়। তারপরে আবার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আনার পর অমানবিক অত্যাচার সৎ মায়ের। বিবাহের পরে সৎ মায়ের অত্যাচার শুরু হয় দীপ শঙ্করের উপরে। দীর্ঘদিন অত্যাচারের ফলে অবশেষে আশ্রয় নেয় মামার বাড়ি। সেখান থেকেও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। ওই নাবালককে এমনই এক ঘটনা উঠে এল শান্তিপুরে। উল্লেখ্য, বিগত দুবছর আগে সৎ মায়ের অত্যাচারে শান্তিপুর খাঁ পাড়ায় মামার বাড়িতে চলে আসে ক্লাস এইটের ছাত্র দীপ শঙ্কর পাল। এরপরেই শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুলে ভর্তি হয় পড়াশোনার জন্য, মামার বাড়িতে থেকেই।
এতদিন পড়াশোনা করছিল কিশোর। এখানেও মামাদের অত্যাচারে আবারও ব্যারাকপুরে বাবার বাড়িতে চলে যায়। শান্তিপুরে মামার বাড়িতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিতে এলে ঘটে অমানবিক ঘটনা। মামারা বাড়ি থেকে বের করে দেয় ক্লাস এইট এর ছাত্র দীপ শঙ্করকে শুধু এখানেই শেষ নয় মামার বাড়ি থেকে বলা হয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও না হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নাও তখনই ওই ছোট্ট বালক টি বাঁচার তাগিদে ঘুরে বেড়ায় শান্তিপুরের বিভিন্ন জায়গায় সন্ধ্যা নামার পরে আশ্রয় নেয় রেলস্টেশনে তখনই নজরে পড়ে রেল জিআরপি পুলিশের ১৫ বছর বয়সি বালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিআরপি পুলিশ সমস্ত ঘটনা জানার পরে জিআরপি পুলিশ যোগাযোগ করে শান্তিপুর থানার সাথে রেল জিআরপি পুলিশ আরপিএফ ও শান্তিপুর থানার যৌথ উদ্যোগে ওই বালকে পাঠানো হয় রানাঘাট জিআরপিতে। সূত্রের খবর ওই বালকে এখন রাখা হবে হোমে স্বভাবতই এমন অমানবিক ঘটনায় হতভম্ব গোটা শান্তিপুর। এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিলেন যে মা তিনি আর নেই। তাই সৎ মায়ের অত্যাচার সরকারি হোমে ওই বালক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct