এহসানুল হক, টাকি: টাকি পর্যটনকেন্দ্রে তৈরি হয়েছিল একটি ভাসমান রেস্তোরাঁঁ। কয়েক লক্ষ টাকায় তৈরি হওয়া দেখভালের অভাবে ইছামতির ধারে নষ্ট হতে বসেছে।নজর নেই প্রশাসনের।পর্যটনে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রকে বিশ্বমাঝে তুলে ধরতে সাজিয়েছে পর্যটন দফতর। উত্তর চব্বিশ পরগনায় ইছামতীর তীরে সবুজে ঘেরা ছোট্ট শহর টাকি। বসিরহাট মহকুমার টাকি শহরের পর্যটনকেও ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্যসরকার। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে উইকএন্ড ডেস্টিনেশন হিসাবে স্থান করে নিয়েছে টাকি। উৎসবের মরশুম ছাড়াও প্রতিনিয়ত এখানে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। পর্যটকদের চাহিদামতো দুই বাংলার মাঝে ইছামতী নদীর উপর তৈরি হচ্ছিল ফ্লোটেল। ভাসমান এই রেস্তোরাঁঁর কাজ প্রায় শেষ হল না। ইছামতি নদীর উপরে এই প্রেজেক্টের জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। প্রাথমিকভাবে ৩৫ থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। ঠিকাদারকে দিয়ে সিংহভাগ কাজের পর রেস্তোরা পুরোপুরি তৈরি হয়েও গিয়েছিল। বহুল অর্থ ব্যয়ের পর যদিও শেষ পর্যন্ত অবশ্য চালু হওয়ার আগেই আমফানে ভেসে যায় ভাসমান রেস্তোরাঁ। বলা হয়েছিল কয়েকমাসের মধ্যেই পুরো কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা আজ ইছামতি নদীর ধারে পড়ে রয়েছে। শুরুতে মিনি সুন্দরবন, গোলপাতার জঙ্গল সহ একাধিক প্রকল্প প্রশাসনের গাফিলতিতে ও পৌরসভার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে টাকি পর্যটন কেন্দ্রের নতুন সংযোগ ছিল এই ভাসমান রেস্তোরাঁ। এই প্রেজেক্ট টাকি পর্যটন কেন্দ্রের মানচিত্রের নতুন পালক সংযোজন করেছিল বলা চলে। একদিকে আমফান ও ইয়াসের দাপট অন্যদিকে দুই বাংলার মাঝের ইচ্ছামতী নদীর উপর ভাসমান রেস্তোরাঁ নদী ধারে নষ্ট হয়ে যেতে বসাই হতাশ পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
সেদিন টাকি পৌরসভা পৌর প্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমফান্ফা ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই ভাসমান রেস্তোরাঁঁ। আমরা কিছুটা ঠিক করতে পেরেছিলাম। কিন্তু যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল সে টাকার হাফ এসেছে, পুরো টাকা আসেনি। সেই জন্য রেস্তোরাঁঁর কাজ শেষ করা যায়নি। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধান করে ভাসমান রেস্তোরাঁঁ আকারে ইছামতির তীরে আবার দাঁড়াবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct