জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: করোনা বিধি নিষেধ বা লকডাউনের সুবছর পর বছর ধরে পরিস্তিতির শিকার হয়ে বহু বছর ধরে ভাঙা কাঁচা বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন আস্ত একটি অসহায় পরিবার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বাংলা আবাস যোজনা থেকেও তাদের এখনো জোটে নি পাকা বাড়ি। ভোট আসে ভোট যায় তবুও পাকা বাড়ি না মেলায় চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন গোটা পরিবার । জানা যায় বাড়ি পাওয়ার আশায় তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্তরে আবেদন নিবেদন করেই চলেছেন। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের কে বলেও কোনো সমাধান হয়নি বলে তারা জানান। তবে এবছর সময়ের আগেই ভারী বর্ষার আগমনে তাদের জরাজীর্ণ ভাঙা কাঁচা বাড়িতে দিনের বেলা থাকলেও তারা রাত্রি বেলা স্থানীয় কিষান মান্ডিতে রাত কাটান বলে জানিয়েছেন ।
আর এমনই চিত্রটি ধরা পড়লো পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের খোদ বাঘমুন্ডি বাজারে। কার্তিক খাঁ, স্ত্রী ঝুমা খাঁ ও তাঁদের দুই সন্তান মিলে চার জনের ছোট একটা পরিবার। পেশায় ঠেলা গাড়িতে করে পণ্য সামগ্রী বহন করা অর্থে কোন রকমে দিন গুজরান। এবিষয়ে কার্তিক খাঁ ও তাঁর স্ত্রী ঝুমা খাঁ বলেন, দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে আমরা এভাবেই দিন কাটাচ্ছি। বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। প্রবল বর্ষণের কারণে এবছর বাড়ির অবস্থা আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে এককথায় কখন যে বাড়িটি ভেঙে পড়বে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবুও দিনের বেলা কষ্ট করে ভাঙা বাড়িতে দিন কাটাচ্ছি, তবে রাত্রি বেলা ঘুমিয়ে পড়লে বাড়িটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় আপাতত বাঘমুন্ডির কিষান মান্ডিতে রাত্রি যাপন করছি। তাদের অভিযোগ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লকে সরকারি বাড়ির পাওয়ার জন্য খোঁজ নিতে গেলে বলা হয়, এখনও তাদের নামে বাড়ি আসেনি তবে কাগজপত্র জমা পড়েছে এলেই জানিয়ে দেওয়া হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, এবারে অবশ্যই তারা বাড়ি পাবে। তাই সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যাতে চোখের জল ফেলতে না হয়। এবিষয়ে ঝালদা মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায় বলেন, সাংবাদিকদের কাছ থেকেই তিনি গোটা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। খুব শীগ্রই খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবেন যাতে করে ওই পরিবারটি একটি পাকা বাড়ি পায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct