আপনজন ডেস্ক: তালিবানদের কাছে একের পর এক জেলার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে আফগান সরকার। গত দেড় মাসে ৫০টির বেশি জেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে দেশটির সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তায় বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে উদ্যোগ জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। আফগানিস্তানে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত লিওনস বলেন, তালিবান যেভাবে একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে তাে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে। এলাকায় আবারো উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চলে যাবে। এরইমধ্যে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। তারপর থেকে তালিবান আরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়েছে। তাদের এতদিন শক্ত ঘাঁটি ছিল দক্ষিণ আফগানিস্তান। তারা এবার উত্তর দিকে একের পর এক এলাকা দখল করছে।
আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তালিবান তাজিকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্ত-শহর দখল করে নিয়েছে। এছাড়া উত্তরের আরো দুইটি জালো নাহরিন এবং বাঘলান-ই-মারকাজিও তারা কব্জা করেছে।
লিওনস বলেছেন, তালিবান আগ্রাসী সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। তারা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তারা যদি এই সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখে, তা হলে তা খুবই দুঃখজনক হবে। এর ফলে কাছে ও দূরের অনেক দেশই নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবে।
তালিবান যেভাবে দ্রুত এলাকা দখল করছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে? মর্কিন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তারা সেনা প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু একইসঙ্গে তারা তালিবান-অভিযান নিয়ে সব তথ্য জোগাড় করছেন। প্রয়োজন হলে প্রতিবেশী কোনো দেশ থেকে তারা তালিবানের উপর আঘাত হানবেন।
তবে এই অঞ্চলে নতুন কোনো মার্কিন সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা কঠিন হবে। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া এই অঞ্চলে মার্কিন সমরিক ঘাঁটির বিরোধিতা করবে। পাকিস্তানও জানিয়ে দিয়েছে, তারা সেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি করতে দেবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct