আপনজন ডেস্ক: রাজ্যের বেশ বিধানসভার আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। সেই উপনির্বাচনের অপেক্ষায় দিন গুনছে তৃণমূল কংগ্রেস মায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও কোনও রা কাড়া হচ্ছে না। তাই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা রযেছে। এই উপনির্বাচনে ভবানীপুর থেকে লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওআর পর ছ মাসের মধ্যে জিতে আসতে না পারলে মমতার মুখ্যমন্ত্রী থাকা নিয়ে সঙ্কট দেখা দিতে পারে। তাই মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করুক। এমনকি প্রচারের জন্য সাতদিন সময় দিলেও মমতা আপত্তি নেই।
তবে, নির্বাচন কমিশন এখনও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা না করায় বুধবার মমতা নবান্নে প্রধানমন্ত্রীকে নিমানা করে বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে তবেই ওরা উপনির্বাচন করবে। সেটাই যদি হয়, তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব উপনির্বাচনের জন্য।’
এখন করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে তাই মমতা চাইছেন এখনই দিন ঘোষনা হোক উপনির্বাচনে। কারণ, করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে আর উপনির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এ িনয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অপেক্ষা করে আছি। চাই যত দ্রুত সম্ভব, উপ-নির্বাচন করতে। এখন করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় সাতদিনের মধ্যে উপনির্বাচন করা যেতে পারে। প্রার্থীদের জন্য বেশি সময় দেওয়ার দরকার নেই। উল্লেখ্য, এবার রাজ্যের আট দফার মোট ২৯২টি বিধানসভা আসনে ভোট হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের সময় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রার্থীদের মৃত্যুর ফলে সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি। ফলাফল প্রকাশের আগে মৃত্যু হয়েছে খড়দহের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা।আর সম্প্রতি মারা গিয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। এছাড়া দিনহাটা ও শান্তিপুর আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন বিজেপির দুজন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। ফলে এতগুলো আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। আর মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তারও বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে, এতগুলো আসনে উপনির্বাচনের ব্যপারে মুখিয়ে আছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে তৃণশূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খড়দহের আসনে তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যিনি ভবানীপুর থেকে জিতলেও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ভবানীপুর থেকে লড়বেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে তাকে ছ’মাসের মধ্যে অর্থাৎ ৫ নভেম্বরের মধ্যে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে। তাই উপনির্বাচন মমতার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সূত্রের খবর, অন্যদিকে বিজেপি চাইছে বিধানসভার উপনির্বাচন বিলম্ব করে দিয়ে মমমতাকে বিপাকে ফেলতে। আর তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অঙ্গুলি হিলন ছাড়া নির্বাচন কমিশন যে এক পাও নড়বে না পরিষ্কার হয়ে উঠছে। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে নিমানা করে বলেছেন, যদিও মোদির কতাতে উপনির্বাচন করতে হয়, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার জন্য। তাই উপিনর্বাচন নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়ে গেছে।েএখন দেখার বিজেপি এ নিয়ে কী কৌশল অবলম্বন করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct