জৈদুল সেখ, বড়ঞা: কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দীর্ঘ অভিমান নিয়ে বলছিলেন বত্রিশ বছর পার হয়ে গেল কেউ কথা রাখেনি। এ যেন বাস্তবে বার বার প্রমানিত হয় সাধারন গরিবব মানুষের কষ্টের কাহিনী। ভোট আসে প্রতিশ্রুতিও আসে, স্বপে ভাসে কিন্তু তার পর কেবলই নেতাদের প্রাণে চেয়ে থাকা!
মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা বিধানসভার অন্তর্গত পাঁচথুপির সর্বষী ঘাটের পারাপার করতে হয় খুব কষ্টে আর বর্ষা এলেই চলাচল আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে কখনো বা সমস্ত যোগাযোগই বন্ধ হয়ে যায়।
কান্দি মহকুমার বড়ঞা থানার অন্তর্গত এই সর্বষী ঘাটের এপারে অবস্থিত বিস্তীর্ণ অঞ্চল’ পাঁচথুপি! আর ওপারে কুলিয়া, গোধরা, মালিয়াসহ বসবাসরত প্রায় পাঁচটি গ্ৰামের মানুষ। ছোট্ট থেকে বড়ো এবং পড়ুয়া থেকে সরকারি কর্মচারী এক কথায় সকলেরি দিন শুরু হলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্ৰী ও জীবন জীবিকার তাগিদে প্রাণহানির ঝুঁকি নিয়ে ঘাটের উপর দিয়ে নিত্য দিনের যাতায়াত। পাঁচথুপির বাসিন্দা শ্যামশ্রী মন্ডল বলেন, সর্বশ্রী ঘাটের উপর ব্রিজের দাবি দীর্ঘদিনের। এখানে ব্রিজ না থাকার ফলে হরিপদ গৌরী বালা কলেজে পড়ুয়া থেকে শুরু করে নিত্য দিনের মানুষের খুব কষ্ট হয়! সব চেয়ে বড় বিপদ কোনও কারণে ঘাট দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হলে ২ কিমি রাস্তা বদলে সুন্দরপুর হয়ে ২৫ কিমি ঘুরে আসতে হয়। তাছাড়া যানবাহন কিংবা অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে বড়ো সমস্যা।
স্থানীয় শিক্ষার্থী এবং যুব নেতা আবু সালেক বলেন, এখানে একটি ব্রিজ হলে এলাকার শিক্ষা থেকে উন্নয়ন আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে, আমরা ব্রিজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ সর্বষী ঘাটের উপর একটি স্থায়ী সেতুর দাবিতে প্রশাসনিক মহলে একাধিকবার দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা মিলেনি। তবে কোনো রকমে পারাপারের জন্য নিজেদের উদ্যোগেই তৈরি করেছে বাঁসের অস্থায়ী সেতু! কিন্তু বর্তমানে বর্ষার শুরুর আগেই নদীতে জলস্রোত বাড়ার ফলে ভেঙে পড়েছে সেই অস্থায়ী সেতুটি আর যার জেরে কার্যত সাধারণ জীবনযাপনেও ব্যাপক ভোগান্তি ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে।
এ ব্যাপারে বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি রাজ্য স্তরে জানিয়েছি আশাকরি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। এখন দেখায় বিষয় কেবল প্রতিশ্রুতি নাকি কবির ভাষায় আসলে কেউ কথা রাখে না! উত্তর মিলবে সময়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct