এহসানুল হক, বসিরহাট: করোনার আবহে জেনারেল চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। কোন ডাক্তার রোগীকে সেই ভাবে দেখছেন না এবং চিকিৎসক সেইভাবে এলাকায় পাওয়া না যাওয়ায় এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে এবার বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক ডক্টর সপ্তসী ব্যানার্জি নতুন পদ্ধতি চালু করলেন। যার নাম দিলেন দুয়ারে দুয়ারে চিকিৎসা। এলাকায় এলাকায় আজ থেকে বিধায়ক উদ্যোগে মাসে দুদিন দুয়ারে দুয়ারে চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হবে। যাতে গরিব মানুষগুলো ভালো চিকিৎসা পায়। এদিন বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত টাকি পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে এই পরিষেবার শুভ উদ্বোধন হয়। এখানে অসহায় মানুষ বিশেষ করে যারা চিকিৎসকের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের জন্য চক্ষু পরীক্ষা শিবির, জেনারেল ফিজিশিয়ান,ইসিজি করোনা পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিনেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক ডক্টর সপ্তসী ব্যানার্জি, টাকি পৌরসভার পৌরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, টাকি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবী ফারুক গাজী, টাকি টুরিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদ্যুৎ দাস সহ একাধিক নেতৃত্ব। বিধায়ক নিজে অসহায় মানুষদের চোখ পরীক্ষা করেন এবং তাদের চশমার ব্যবস্থা করে দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমার মনের ইচ্ছা ছিল যে বসিরহাটকে চিকিৎসাব্যবস্থা সুন্দর করে গড়ে তুলবো। আমি বিধায়ক হলেও রাজনীতি অভিজ্ঞতা আমার নেই। আমি এটাই বুঝি আমি ডাক্তার হিসেবে মানুষকে সুচিকিৎসা দিতে চাই। প্রত্যেক পৌরসভা এলাকায় দুয়ারে দুয়ারে চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করা হবে। পাশাপাশি সপ্তাহে দুই দিন বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে এই দুয়ারে দুয়ারে চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করব। যাতে মানুষ চিকিৎসার অভাবে কষ্ট না পায়। আজ ছিল তারই একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস।
এদিন চিকিৎসা নিতে আসা বছর ষাটের আমেনা বিবি বললেন, এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার ছাড়া বসিরহাটের অন্য কোন ডাক্তার দেখতে চাইছে না, আর জ্বর হলে তো কথাই নেই। আজ খবর পেয়ে এখানে এসেছি। এখানে এসে দেখলাম ইসিজি করা হচ্ছে, চক্ষু পরীক্ষা করা হচ্ছে বিনা পয়সায় ,ওষুধ দেওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত বিভাগ রয়েছে। বড় বড় ডাক্তাররা এসেছেন আমি খুবই খুশি বিধায়কের এই কাজে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct