মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: অবিক্রিত আম রাস্তার পাশে ফেলে দিচ্ছে চাষিরা শ্রমিকের মজুরি উঠছে না তাই গাছ তলায় বিছিয়ে রয়েছে আম এবছর আমের ফলন হয়েছে যথেষ্ট।কিন্তু আম ব্যাবসায়ীরা পাচ্ছেন না আমের সঠিক দাম মূলত পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকার কারণে আমের ব্যাবসা ঠিক মত লাভ জনক হচ্ছে না বলেই মনে করেন, ছোটখাটো আম ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে কৃষকরা মনে করেন এবছর অত্যাধিক ফলন, তার উপর বহিরাগত ক্রেতার অভাব তো রয়েছে এরই ফল স্বরূপ ব্যাবসায়ী রা কম দামে আম বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেক আম সঠিক সময়ে বিক্রি না হবার ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে বাগান থেকে আম কিনে পথের ধারে বসে বিক্রি করা ব্যাবসায়ীর মতে এবছর করোনা র কারণে মানুষের হাতে টাকা পয়সা কম।
আর সেই কারণেই ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন আমের বাজার।তবে প্রথম দিকে কাঁচা বিক্রি করেছেন তখন কিছুটা দাম পেয়েছেন চাষিরা প্রায় প্রত্যেক বাগানের বেশিরভাগ গাছের আম পাকা শুরু হয়েছে একসাথে, তাই বাজারে যোগান বেশি, অন্যদিকে গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার কারণে কম ভাড়ায় কলকাতা বা রাজ্যের অন্যান্য স্থানে আম পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, ফলে স্থানীয় নেতাদের উপর ভরসা করতে হচ্ছে। উঠার সময় যে আগ্রহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিলোএখন তা অনেকটাই কমে এসেছে! ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমের দাম কুড়ি পঁচিশ টাকা থেকে সোজা নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৫-১০ টাকায় অন্যদিকে আমপাড়া শ্রমিকের মজুরি, ঝুড়ি ঝাঁকা, কার্বাইড, খবরের কাগজ নানান উপকরণ মূল্যবৃদ্ধির কারণে খরচে পোষাতে পারছেন না, বাগানিরা, তাই গাছের আম গাছেই রয়েছে,পরিপক্ক হয়ে ঝরে পড়ে নষ্ট হচ্ছে গাছ তলায়। স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে না পেরে পথের ধারে ফেলে দিচ্ছে আম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct