আপনজন ডেস্ক: শনিবার ছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে জিএসটি নিয়ে জিএসটি পরিষদের বৈঠক। ওই বৈঠকে সব প্রায় সব রাজ্যের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। কিন্তু দেখ াগেছে বিজেপি শাসিত কিছু রাজ্যের প্রতিনিধিরে বারে বারে বলার সুযোগ দেওয়া হলেও বাংলার অর্থমন্ত্রকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। ঠিক যেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করোনা সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের মতো। করোনা সংক্রান্ত বৈঠকে কোনও কথা বলার সুযোগ না দেওয়ায় সরব হযেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাকে কোনও বলার সুযোগ না দেওয়ায় সরব হলে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তার প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠিও লিখলেন জিএসটি পরিষদের বৈঠকে তাঁকে কথা বলতে না দেওয়ার জন্য।
জানা গেছে, জিএসটি পর্যবেক্ষণের বিষয়ে কথা বলা হলেও জিএসটি পরিষদের বৈঠকে তাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। অথচ উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
শনিবার রাতে দেড় পাতার চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী জানান, জিএসটি পরিষদের বৈঠকের শেষে বক্তৃতার সময় তাঁর একাধিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সীতারামন। তাতে অমিত মিত্রের নামও নেন। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অর্থমন্ত্রীকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
একাধিকবার আর্জি জানানো সত্ত্বেও সীতারামনের মন্তব্যের জবাব দিতে দেওয়া হয়নি। চিঠিতে বাংলার অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘উলটে আপনি উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীকে কথা বলার সুযোগ দেন। যিনি আমার নাম ধরে আমার মন্তব্যের কয়েকটি অংশে বাদ দিতে বলেন। আশ্চর্যজনকভাবে আপনি সেটা মেনেও নেন। আমি জীবনেও ভাবতে পারিনি যে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে এরকম হবে, আমার কণ্ঠরোধ করা হবে। অথচ জিএসটি পরিষদের ৪৪ টি বৈঠকে আমি সংযম ও ভদ্রতা বজায় রেখে চলেছি।’ যা যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোর মূল ভিত্তিতে কুঠারাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী করোনা ভ্যাকসিন বা কোভিড সম্পর্কিত সামগ্রীর উপর ৫ শতাংশ জিএসটির বিরোধিতা করেন। রাজ্যগুলি শূন্য-রেটিং চেয়েছিল। কিন্তু কোভিডের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সমস্ত উপকরণের জন্য জিএসটি চাপিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়।
শনিবার জিএসটি কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওষুধ, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, টেস্টিং কিট এবং হ্যান্ড সানাইটিসিসহ কোভিড-সম্পর্কিত আইটেমগুলির উপর অস্থায়ীভাবে হার কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হবে। ভ্যাকসিনের হার অপরিবর্তিত ৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। অক্সিজেন জেনারেটর, পালস অক্সিমিটার, ভেন্টিলেটর এবং উপরে বর্ণিত আইটেমগুলির উপর আরোপিত পরিমাণ ১২% বা ১৮% থেকে কমিয়ে ৫ % করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে জিএসটি ২৮% থেকে কমিয়ে ১২% করা হয়েছে, শ্মশানঘাটে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক চুল্লিগুলিতে ১৮% থেকে ৫% এবং তাপমাত্রা পরীক্ষার সরঞ্জামগুলি ১২% থেকে ৫% করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct