ফৈয়াজ আহমেদ: আমরা প্রায়শই কম্পিউটার ব্যবহার করার সময়, কম্পিউটার একটু ধীরগতির হলেই কম্পিউটার রিফ্রেশ করে থাকি বা প্রায় সবাইকে তাই করতে দেখেছি। এমনকি অনেকে ডেস্কটপের কোনো অংশ যেন রিফ্রেশের কবল থেকে বাদ না যায়, সেদিকে তাদের পূর্ণ মনোযোগ থাকে তাও দেখেছি।
নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, এখানে কোন রিফ্রেশের কথা বলা হচ্ছে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডেস্কটপ কিংবা ফাইল এক্সপ্লোরারের ফাঁকা অংশে মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করলে একটি মেনু বেরিয়ে আসবে। সেখান থেকে রিফ্রেশে ক্লিক করেননি, এমন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর বড় অভাব এই দেশে। কেউ কেউ আবার শর্টকাট বোতাম হিসেবে কি-বোর্ডের ওপরের সারি থেকে F5 বোতামও চাপেন।
রিফ্রেশ করলে কম্পিউটারের গতি বাড়বে, সেটাই বোধ হয় আমাদের উদ্দেশ্য। যত বেশি রিফ্রেশ, কম্পিউটারে তত বেশি গতি। তবে সে ধারণা ঠিক নয়।
তাহলে রিফ্রেশের কাজ কী?
রিফ্রেশের কাজ কিন্তু পুরোপুরি ভিন্ন। এটা ভিজ্যুয়াল ভুলত্রুটি সংশোধন করে, পারফরম্যান্সের না। মানে মনিটরে যা দেখানোর কথা, রিফ্রেশ করার পর সেটারই সংশোধিত রূপ দেখায়।
মনে করুন, আপনি ডেস্কটপ থেকে একটি ফাইল ডিলিট করেছেন। তবে অবাক হয়ে দেখলেন, সেটি এখনো ডেস্কটপেই দেখাচ্ছে। অথচ ফাইলটি সেখানে থাকার কথা নয়, বড়জোর রিসাইকেল বিনে থাকতে পারে।
কম্পিউটারের গতি কোনো কারণে কমে গেলে অনেক সময় এমন সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থায় আপনি রিফ্রেশ চাপলে ফাইলটি আর আগের জায়গায় না দেখিয়ে রিসাইকেল বিনে দেখাবে। আর আকার বেশি বড় হলে রিসাইকেল বিনে না গিয়ে স্থায়ীভাবে মুছে যাবে। অর্থাৎ রিফ্রেশ করলে যা দেখানোর কথা, সেটাই ঠিকঠাকভাবে দেখাবে। কম্পিউটারের গতি বাড়াবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct