আপনজন প্রতিবেদক: স্বাধীনতার পর থেকে অনেক নির্বাচন পেরিয়েছে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন শাসক-বিরোধী সব দলের নেতারা তবুও মুর্শিদাবাদের অতি পরিচিত দুই থানা ডোমকল ও হরিহরপাড়ার মানুষকে ভাগ করে রেখেছে ভৈরব নদী। এই দুই এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ভৈরব নদী। দুই থানার বাসিন্দা ছাড়াও ঐ পারে নওদা ও এপারে জলঙ্গির মানুষের সংযোগের এক মাত্র মাধ্যম সুন্দলপুর-ফতেপুর ফেরিঘাট। কাছাকাছি একটু বড় শহর ডোমকল হওয়ায় হরিহরপাড়ার বাসিন্দারা ডোমকলে নিত্যনৈমিত্তিক কাজে যেতে হয় এবং ডোমকল কলেজ সহ ডোমকলের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হরিহরপাড়ার ছেলে মেয়েরা পড়া শোনা করে। ভৈরব নদীতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, ছাত্র, দিনমজুর পারাপার করেন। স্থানীয় বাসিন্দা কার্ত্তিক সাউ জানান “এর মধ্যে অনেকই তিন চাকা, চার চাকা গাড়ি নৌকায় চাপিয়ে পার করে।” আর এক স্থানীয় নিত্য দিনের যাত্রী দুলাল বলেন “ ইসলামপুর ঘুরে মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুর যেতে চল্লিশ কিমি পথ যেতে লাগে আর হরিহরপাড়া দিয়ে যেতে তিরিশ কিমি পথ তাই ডোমকলের বেশির ভাগ মানুষ এই ফেরিঘাট পার হয়েই যায়। বর্ষাকালে নৌকায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়, তাতে মাঝে মধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে। আমাদের এই নদীতে পাকা বিরিজ খুবি গুরুত্বপূর্ণ, দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের দাবি থাকা সত্যেও পূরণ হয়নি তা না হলে কোন দিন হয়তো প্রাণহানির ঘটনা ঘটাও অসম্ভব নয়।” সুন্দলপুরের সৌমেন মাঝি বলেন “পাঁকা সেতুর জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে একাধিক বার আবেদন করা হয়েছে। এমনকী পাঁচ ছয় মাস আগে পারাপারের ভাড়া নিয়েও এলাকার মানুষ সরব হন প্রশাসনের কাছে। পারাপারের পারানির কত টাকা জন প্রতি সেই ফলক ফেরিঘাটের দুই পারে বসানো হলেও তাতে টাকার উল্লেখ করেনি প্রশাসন ফলে মাঝিরা ইচ্ছা মতো অবাধে পার ভাড়া নিয়ে থাকে।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct