রাজু আনসারী ও রাকিবুল ইসলাম: মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে মাঠে চাষ করার সময় বজ্রাঘাতে একই গ্রামের ছয়জনের মৃত্যু। সোমবার দুপুরে ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় রঘুনাথগঞ্জ থানার নওদা গ্রামে।
প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে নওদা মাঠের বেশ কয়েকজন ছিলেন সে সময় হঠাৎ বৃষ্টি আসলে মাঠে এক ডিপকল ঘরে আশ্রয় নিতে গিয়ে হঠাৎই বজ্রপাত হয়। সেই বজ্রপাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সকলেই গুরুতর জখম হন। চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন। তড়িঘড়ি পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশও। তখন পুলিশ ও এলাকাবাসীরা একাধিক ব্যক্তিকে জখম ও অজ্ঞান অবস্থায় নিয়ে আসে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাদের মধ্যে ইমারজেন্সি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ছয় জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে ও দুই জন আহত অবস্থায় রয়েছেন চিকিৎসাধীন।
পাশাপাশি এদিনই সুতি থানার আহিরনেও বাজ পরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম জালালউদ্দিন সেখ, সাদ্দাম সেখ, সুনীল দাস, দুর্যোধন দাস, মাজাহারুল সেখ। আহতরা আশস্কাজনক অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনায় মৃতদের পরিবার জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মৃতদের পরিবারের জন্য সরকারি সাহায্যের আর্জি জানান মৃতের পরিবার ও পরিজনেরা।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র হাসপাতালে যান তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষ। তিনি বলেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন সর্বতোভাবে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সমস্ত প্রকার সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি৷
অন্যদিকে চাষের জমিতে কাজ করার সময় সুতির আহিরনে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় এনামুল সেখ নামের এক ব্যক্তির। অন্যদিকে বহরমপুরের বানজেটিয়ার রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল ২জনের। মৃতদের নাম অভিজিৎ বিশ্বাস ও প্রহ্লাদ মুরারি।
এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু মুর্শিদাবাদে নয়, অন্য জেলায়ও এদিন একইসঙ্গে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের পরিবার পিছু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি ইয়াস ঘুর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত রাজ্য। তার উপর বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct