ফৈয়াজ আহমেদ: করোনা মহামারী এবং তার ফলে লকডাউনে এমনিতেও জনজীবন বিধ্বস্ত। তার উপর ইয়াস ঝড়ের কবলে গোটা সুন্দরবন থেকে শুরু করে সাগর-মৌসুনি দ্বীপ পর্যন্ত দক্ষিন ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা। ঝড়ে যতটা না ক্ষতি হয়েছে তার থেকেও বেশি ক্ষতি হয়েছে বাঁধ ভাঙ্গা জলের তোড়ে। বিস্তীর্ন এলাকায় হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছেন বন্যায়। হারিয়েছেন সহায়-সম্বল।
বেশকয়েকদিন সংবাদমাধ্যমে দূর্গত এলাকার ত্রানের জন্য হাহাকার চোখ এড়িয়ে যায়নি কোলকাতার ভ্রমন সংস্থা স্মাইল পার মাইলস্ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর। মাত্র দুবছর হলো নতুন স্বপ্ন নিয়ে গড়ে তোলা এক তরুনী উদ্যোগপতির স্মাইল পার মাইল। সংস্থার নামেই আছে হাসি ফোটানোর বার্তা। বয়সে নবীন হলেও চিন্তাবানায় অনেক বড়ো সংস্থাকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি এবং তাঁর সংস্থা। তাঁর কোমল হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে দূর্গত মানুষের ছবি। তড়িঘড়ি বোর্ড মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করেননি। ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লেন ত্রানের কাজে। সংস্থার ডিরেক্টর তরুনী উদ্যোগপতি বিপাশা সামন্ত বলেন, “আমরা মানুষের পাশে, ৫০০ পরিবার ও ১৫০ বাচ্চাদের খাদ্য সামগ্রী, মশারী বিতরণ করেছি। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য। তাই আমরা চাই আরোও মানুষের পাশে দাড়িয়ে আর্ত মানুষের সেবা করতে। আর এই কাজে আমি পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি আমার চাটার্ড এ্যাকাউটেন্ট স্বামীর। তিনিও তাঁর ব্যস্ততার মধ্যেও আমায় খুবই সহযোগীতা করছেন। আরোও আমার এই কাজে উৎসাহিত হয়ে আমার কিছু পুরোন বন্ধু-বান্ধবও এগিয়ে এসেছে। যাদের সহযোগীতা না হলে এই প্রতন্ত সুন্দরবন এসে ত্রানের কাজ করতে পারতাম না।”
সুন্দরবনের গোসাবার সোনারগাও এলাকাকে চিহ্নিত করে ত্রানের কাজের পুরো বিষয়টি অর্গানাইজ করা হয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগণার দক্ষিন বারাশত-এর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির তত্বাবধানে। এই এনজিওর সম্পাদক আতিয়ার রহমান নিজে উপস্থিত থেকে পুরো বিষয়টি তত্বাবধান করেন। তাঁর কথায় বিভিন্ন এনজিও ও সাধারন অনেক মানুষই ত্রানের কাজে আসছেন। কিন্তু বিশৃঙ্খল ভাবে ত্রানের কাজ হওয়ায় অসমবন্টন হচ্ছে, ফলে কোথাও ত্রান বেশি বেশি হচ্ছে। আর কোথাও ত্রান মোটেও পৌঁচাচ্ছে না। আমাদের আবেদন এই এলাকায় কাজের অভিজ্ঞতা আছে এমন এনজিওর মাধ্যমে ত্রানের কাজ হলে ভালো হয়।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct