আপনজন ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমুল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার ধুম লেগেছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর এবার ‘ঘর ওয়াপসি’ করতে চেয়ে আবেদনের পাহাড় জমছে। ইতিমধ্যে সোনালি গুহরায়, দীপেন্দু বিশ্বাস ক্ষমা চেয়ে নিয়ে দলে ফিরতে চেয়েছেন। মুকুল পুত্রকে নিয়েও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়টি দেখে থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কোর কমিটি। কিন্তু এই ‘ঘর ওয়াপসি’দের দলে নেওয়া সিদ্ধান্ত মমতা নিজেই নেবেন বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম তৃণমূল সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছে শনিবার। ওই বৈঠকে সদ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে বুথ স্তরেও বিশ্লেষণ হবে বলে সূত্রের খবর। তাই ওই বৈঠকে দরের মন্ত্রী, বিধায়ক ছাড়াও হাজির থাকবেন সাংসদ, জেলার সভাপতি, পুর প্রশাসকরাও। এই বৈঠকেই কোর কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় ভোটকুশলী প্রশান্তকিশোরকে নিয়োজিত করা নিয়ে। যদিও দলীয় সূত্রের কবর ইতিমধ্যে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবুজ সংকেত দিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্তকিশোরকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পরিকল্পনা কি হবে তা নিয়ে ছক কষতে। সেই ক্ষেত্রে দুটি বিষয় নিয়ে প্রশান্তকিশোর এগাবেন বলে জানা গেছে। তার মধ্যে একটি হল, রাজ্যে তৃণমূলের আসন বাড়ানো আর অন্যটি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মোদির বিপক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে মমতাকে তুলে ধরা।
এদিনের বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মোনা যাচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হর ঘর ওয়াপসি। যদিও এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা সংবাদ সংস্থাকে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, আমরা এখন ইয়াস আর করোনা মোকাবিলা নিয়েই ব্যস্ত। ঘর ওয়াপসির ব্যাপারে দলনেত্রী নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দলের মধ্যে যারা মিরজাফর হয়ে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদেরকে ফল ভুগতে হবে। এখন সোনালি গুহ থেকে শুরু করে দীপেন্দু বিশ্বাসের মতো নেতারা যেভাবে দলে ফিরতে চাইছেন তাদের নিয়ে পুনরায় চিন্তা করার সময় এসেছে তৃণমূলের। এমনকী মুকুল রায়কে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তিনি নাকি সপুত্র জনা দশেক বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে ফিরতে পারেন। যদিও দলে ফেরা নিয়ে এখনও মমতা কোনও মন্তব্য করেননি। তার উপর অভিষেককে মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে পাঠিয়ে যে সৌজন্যতা দেখানো হয়েছে, তাতে ক্ষোভে চলে যাওয়অ অনেক প্রাক্তন তৃণমূল নেতা দলে ফিরতে পারেন। কারণ, ইতিমধ্যে সব্যসাচী দত্তের মতো মুকুল ঘনিষ্ঠদের অনেকেই বলতে শুরুর করেছেন, তার সঙ্গে দিদির কোনও খারাপ সম্পর্ক ছিল না। তাই শনিবারের সাংগঠনিক বৈঠকের উপর নির্ভর করছে ‘ঘর ওয়াপসি’দের ভবিষ্যৎ কোন দিকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct