আপনজন ডেস্ক: ইয়াস ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিলেও যেভাবে বাঁধ ভেঙে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে তাতে সেচ দফতরের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ইতিমধ্যে ১৩৪টি বাঁধ ভেঙে এলাকা প্রাবিত হওয়ার খবর মিলেছে। আমফান, ফনি প্রভৃতি ঘূর্ণিঝড়ে এত সংখ্যক বাঁধ কখনও ভাঙেনি। তাই বাঁধ মেরামতির জন্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বাঁধ ভাঙার খবর জানানোর পর েসচ দফতরের আধিকারিকদের উপর ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। সেচ দফতরের আধিকারিকদের প্রতি তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বন্যার ফলে বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এর ফলে রাজ্যের ক্ষতি হচ্ছে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য কোনও টাকা দেয় না। সেজন্য বাঁধ নির্মাণের দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। সেচ দফতরের গাফিলতিতে কি এই বাঁধ ভাঙার কারণ, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিগত তৃণমূল সরকারের সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখন বিজেপিতে। তাই তার ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
তবে, শতাধিক বাঁধ ভাঙার খবরে যে মুখ্যমন্ত্রী অসন্তুষ্ট তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এ জন্য তিনি সেচ দফতরের কাজে গুরুত্ব আরোপ করার কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ্প্কৃউপলব্ধি, তি আমাদের হাতে নেই। কিন্তু যে কাজগুলি আমরা করি, প্রতিবছর যদি একটা করে আমফান হয়,একটি করে বুলবুল হয়, একটা করে আয়লা হয় তবে কাজ করছি সবটাই ভেসে যাচ্ছে। সবটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর সমস্যার সমাধানের জন্য সেচ আধিকারিকদের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করারর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিকল্পনার কথা বলেন। সেই জন্যই তিনি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন বলে জান। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানান মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই টাস্ক ফোর্সে বনদফতর, ডিজাসটার, সেচ, অর্থ, স্বরাষ্ট্র, পরিবেশ দফতর শামিল থাকবে বলে জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct