অল্টারনেটিভ মেডিসিন
_______________
আপনজন ডেস্ক: ত্বক নিয়ে কমবেশি সবাই বেশ সচেতন। এর মধ্যে হাত পায়ে কিংবা ত্বকের কিছু নির্দিষ্ট অংশে কড়া পড়া একটি বড় সমস্যা। মূলত ত্বকের কিছু নির্দিষ্ট অংশ পুরু হয়ে শক্ত হয়ে যাওয়াকে কড়া পড়া বলে। সাধারণত পায়ের পাতা, গোড়ালি, কনুই, হাত কিংবা পায়ের আঙ্গুলে কড়া দেখা দেয়।
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কড়া থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো-
পেঁয়াজ: পেঁয়াজের অম্লীয় উপাদান কড়া সরাতে অনন্য। এররস এত শক্তিশালী যে নিয়মিত ব্যবহারে শক্ত হয়ে যাওয়া চামড়ার স্তর উঠিয়ে ফেলতে পারে। আক্রান্ত অংশে পেঁয়াজের রস মাখিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঐ অংশটিকে রাখতে হবে দুদিন। এক সময় ত্বক নরম হয়ে কড়া সেরে যাবে।
রসুন: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ভাষায় রসুন নানা ঔষধি গুণে ভরপুর। কড়াকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে এটি বেশ কার্যকর। রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যথাযুক্ত কড়ার ভেতরের প্রদাহ ও সংক্রমণ সারাই দ্রুত। এজন্য রসুনবাটা সরাসরি কড়ার উপরিভাগে মাখিয়ে রাখতে হবে রাত ভোর। পরে ধুয়ে ফেলতে হবে কুসুম গরম জলে।
আনারসের খোসা: কড়া পড়া অংশের আনারসের খোসা বেঁধে রাখলে এর অম্লীয় উপাদান কড়া দূর করবে। সারারাত রাখতে পারলে ভালো। তবে খোসা খুলে ত্বক পরিষ্কার করে সেখানে নারকেল তেল মাখতে হবে।
লেবু: সব ধরনের কড়া দূর করতে লেবু কার্যকর। ব্যথাযুক্ত কড়ার মাঝখানে ব্যথা থাকে বেশি। কারণ সেটাই অভ্যন্তরীণ প্রদাহের কেন্দ্রবিন্দু। এক্ষেত্রে তাজা লেবুর রস সরাসরি কড়ার মাঝখানে প্রয়োগ করতে হবে। নিয়মিত লেবুর রস দিয়ে থাকলে এক পর্যায়ে করাটি আরো শক্ত হয়ে খসে পড়বে। যতো খুশি ততো লেবুর রস দিতে পারেন, এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
ভিটামিন ই তেল: আইটেল কড়া সাড়াই আক্রান্ত স্থানের ত্বক নরম করার মাধ্যমে। রাতে ঘুমানোর আগে তেল সরাসরি আক্রান্ত অংশে মাখিয়ে মোজা পড়ে ঘুমাতে হবে। এতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা দ্রুত কড়া ছাড়াই। তবে স্থায়ী সমাধান করতে হলে যে অনবরত ঘর্ষন বা চাপ থেকে কড়া পড়ছে সে অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct