হাসিবুর রহমান, ক্যানিং: ঝড় ও নদী ভাঙনে জেরবার সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এরিয়ার মানুষ। আইলা ঝড়ের সর্বস্বান্ত হয়ে ছিল সুন্দরবনের মানুষ নদী ভাঙ্গনে নোনা জল ঢুকে কাঁচা বাড়ি থেকে শুরু করে হাঁস মুরগি গরু পশুপাখি গাছপালা ধ্বংসের মুখে পড়েছিল এই সুন্দরবন এরিয়া মানুষ নোনা জল ঢুকে যাওয়া তে চাষবাস ছিল না কয়েক বছর সুন্দরবন ছেড়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আজো তাদের দেখা যায় শহরের রাস্তায় তিরপল চাপা দিয়ে থাকতে এমনকি অভাব-অনটনের জ্বালায় শহর লাগোয়া এরাকায় ৫০০ টাকা,হাজার টাকা দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়ে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে। আমফানের ক্ষতিগ্রস্ত এতই পরিমাণে যে সুন্দরবন এলাকার মানুষ এখনও সেটা সামাল দিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষতিপূরণ সেভাবে পাইনি সুন্দরবন এলাকার মানুষ। এরইমধ্যে আছডে পড়তে চলেছে ইয়াস।
ঘন্টায় ১৬৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৮৫কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তরের খবর । ইয়াস ঝড়ের সতর্কতা করতে মানুষের মধ্যে নেমে পড়েছেন সরকারি আধিকারিক থেকে প্রশাসন এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও এদিন দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের দ্বিতীয়বারের বিধায়ক সওকত মোল্লা এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকিং করে সতর্ক করছেন। যাদের কাঁচা বাড়ি আছে তাদেরকে অবিলম্বে কোন ছাদ আঁটা বাড়িতে কিংবা স্কুল কলেজ কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আশ্রয় নেয়ার জন্য মাইকিং করছেন। সেই সাথে যারা সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তাদেরও নিষেধ করছেন। সমুদ্র, নদীথেকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলছেন। সেই সাথে এলাকার যুবকদের নিয়ে বৈঠক করছেন। তিনি আরো জানান, এলাকার স্কুলগুলিতে আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে সেখানে খাদ্য খাবার পানীয় জল সমস্ত কিছু বন্দোবস্ত করা হচ্ছে কোভিড বিধি মেনে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct