জৈদুল সেখ, বড়ঞা: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বহরমপুরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না নেওয়ায় চিকিৎসায় গাফিলতির ফলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে মোশারফ সেখ নামে কুড়ি বছরের যুবকের। ঘটনার পর বিচারের আশায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন সদ্য সন্তান হারা বাবা-মা এবং স্ত্রী হাপিজা বিবি।
পরিবারের অভিযোগ, বড়ঞা থানার অন্তর্গত বধুয়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক আমোদ আলি সেখ। তার ছেলেকে পেটের ব্যথা নিয়ে গত ১৮ তারিখ কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছেলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় কান্দি হাসপাতাল ছেলেকে রেফার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে ২০ তারিখ আমরা ছেলে মোশারফ সেখকে চিকিৎসার জন্য বহরমপুরের রবীন্দ্র ঠাকুর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবারের লোকের বক্তব্য, ওখানে ডা. গোলাম সারোয়ার দেখে চিকিৎসা শুরু করে বলেন পেটের অস্ত্রোপচার করতে হবে। সেইমতো বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় প্রাথমিকভাবে ৭০ হাজার টাকা জমা করতে হবে, তবেই অস্ত্রোপচার করা হবে।। তখন পিতা আমোদ আলী সেখ রাজ্য সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেখালে তারা টালবাহানা শুরু করেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে নিয়ে ছুড়ে ফেলে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে নাকি নগদ ৭০ হাজার টাকা জমা না করলে চিকিৎসা হবে না,ৎ জানিয়ে দেওয়া হয়। মোশারফের পরিবার থেকে জানানো হয়, ছেলের চিকিৎসার কথা চিন্তা করে সোনা দানা, শেষ সম্বল টোটো গাড়ি বিক্রি করে আগাম ৪৫ হাজার টাকা জোগাড় করে বেসরকারি হাসপাতালে জমা করা হয়। শুক্রবার রাতে অপারেশন করার আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রক্ত লাগবে বলে আরও ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই টাকাও ধার করে মিটিয়ে দিলেও অস্ত্রোপচারের টেবিলে ছেলে মোসারফ সেখ (২০) মৃত্যুর সংবাদ শুনে হতাশায় ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকজন। মৃত যুবকের পিতা আমদ আলী সেখ অভিযোগ তোলেন রাজ্য সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড যদি গ্রহণ করত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করতো তাহলে আমাদের ছেলের এভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ঘটতো না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct