আপনজন ডেস্ক: পূর্ব ভারত সহ পশ্চিমবঙ্গে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি করে তুলতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা তার পূর্বাভাস দিয়েছেন। সেই ইয়াস মোকবিলায় আগাম প্রস্তুতির বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা কন্ট্রোল রুমেসরকারি আধিকারিকসহ দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠক হয়।
উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তের নেতৃত্বে জেলার সুন্দরবন উপকূলবর্তী অঞ্চল সহ প্রত্যেকটি এলাকাভিত্তিক অঞ্চলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীরা তৈরি রয়েছে বলে জেলাশাসকের দফতর সূত্রে জানান গেছে। সোমবার বারাসতে অত্যাধুনিক গাছ কাটার জন্য যন্ত্রপাতি এবং লাইফ জ্যাকেট সহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের ডিসট্রিবিউশন করা হয় বিভিন্ন এলাকায়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন ডিস্ট্রিক্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অফিসার দীপঙ্কর হালদার, ওসি ডিজাস্টার ভবতোষ পাল প্রমুখের সঙ্গে আধিকারিকরা ও এবং জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফরহাদ। জেলা কন্ট্রোল রুমে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরেজমিনে আলোচনা করার পাশাপাশি এলাকায় আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা মাথায় রেখে বিভিন্ন রেস্কিউ ক্যাম্পের সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। এ নিয়ে আধিকারিক দীপঙ্কর হালদার বলেন, জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত আছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ বলেন, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা আমাদের অজানা নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে জেলা প্রশাসন এবং এলাকার বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। তারা নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। ঝড়ের প্রভাবে গাছের ক্ষতি হলে সেগুলি দ্রুত সরিয়ে ফেলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাছগুলিকে পুনরায় বাঁচানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct