আপনজন ডেস্ক : ১৯৭০ এর দশকে বনউজাড় এর বিরুদ্ধে চিপকো আন্দোলনের পথিকৃৎ পরিবেশবাদী সুন্দরলাল বহুগুনা (৯৪)আজ বিকেলে মারা যান।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইএমএস) ঋষিকেশের পরিচালক রবিকান্ত জানিয়েছেন, মিঃ বহুগুনা এআইএমএস (ঋষিকেশ) কোভিড পজিটিভ হয়ে ভর্তি ছিলেন এবং আজ দুপুর ১২.০৫ মিনিটে তিনি পরলোকগমন করেছেন।
সূত্রের খবর, ভারতের অন্যতম প্রখ্যাত পরিবেশবিদ মিঃ বহুগুনা কোভিড পজিটিভ হয়ে গত ৮ মে হাসপাতালে ভর্তি হন। অক্সিজেনের মাত্রা মারাত্মকভাবে নেমে যাওয়ার সাথে সাথে গতকাল তার অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে। তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে সিপিএপি থেরাপিতে ছিলেন।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, মিঃ বহুগুনা চিপকো আন্দোলনকে জনতার মধ্যে পরিণত করেছিলেন।দীর্ঘদিনের গান্ধী নীতি অনুসরণকারী, শ্রীযুক্ত বহুগুনা স্বতঃস্ফূর্ত চিপকো আন্দোলনকে ভারতের বন সংরক্ষণের প্রয়াসে রূপান্তরিত করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, চিপকো আন্দোলন ১৯৭০ এর দশকে শুরু হয়। হিন্দি চিপকো শব্দের অর্থ আলিঙ্গন করা। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ এই আন্দোলন উত্তরাখণ্ডের চামোলী জেলায় শুরু হয় এবং উত্তরপ্রদেশ (হিমালয়ের পাদদেশে) ও ধীরে ধীরে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। লগিং অর্থাৎ গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এই আন্দোলন শুরু হয়। গাছকে জড়িয়ে ধরে ছিল বলে এই আন্দোলনের নাম চিপকো। এই আন্দোলনের যোগদান করেন বিশেষত মহিলারা। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন সুন্দরলাল বহুগুনা। এর আগে চিপকো অনুরূপ ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দ রাজস্থানে অমৃতা দেবীর নেতৃত্বে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন হয়।
মিঃ বহুগুনা এই আন্দোলনকে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে তাঁর আবেদনের ফলে ১৯৮০ সালে সবুজ গাছ কাটার ১৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার ফলস্বরূপ।
পরবর্তীকালে, তিনি ভাগীরথী নদীর তীরে উত্তরাখণ্ডে তেহরী বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে সত্যাগ্রহ, অনশন ধর্মঘটের মতো গান্ধীবাদী পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct