রাকিবুল ইসলাম, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার রামেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমাইয়া খাতুন (১৪) গত ১০ বছর ধরে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত৷ প্রতি মাসে রক্ত লাগে সুমাইয়ার ৷
কিন্তু দরিদ্র পরিবার হওয়ায় ওষুধ টুকুও কিনতে পারেনা তারা ৷ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিশোরীকে বাঁচাতে দরকার এক বোতল রক্ত। কিন্তু প্রচুর চেষ্টার পরেও মিলছে না নির্দিষ্টি গ্রুপের রক্ত। খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকেও। শেষমেষ পুলিশের দ্বারস্থ। সুমাইয়ার পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন দৌলতাবাদ থানার ওসি দেবাশিস ঘোষ। ১৬ ই মে লকডাউন শুরু হওয়ায় রক্তের জন্য সমস্যায় পড়ে ছোট সুমাইয়ার পরিবার। তাই দৌলতাবাদ থানার ওসি দেবাশীষ ঘোষ এর কাছে ছুটে যায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সুমাইয়া খাতুন এর বাবা সাইদুল ইসলাম।ওসির নির্দেশে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত দিয়ে ওই কিশোরীর প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ওসি ,ওসি দৌলতাবাদ এলাকার” মানব বন্ধনের” সংস্থার সম্পাদক মোঃ আরিফ হোসেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওসির নির্দেশে রক্তের ব্যবস্থা করেন।
এমন মানবিকতার নজির দাগ কেটেছে সকলের মনে। ওই কিশোরীর প্রাণ বাঁচাতে পেরে খুশি ওসি ও মানব বন্ধনের সংস্থা। মেয়েকে প্রাণে বাঁচাতে রক্তের জন্য ছুটে বেড়িয়ে শেষপর্যন্ত পুলিশের সাহায্যে রক্তের যোগাড় করতে পেরে স্বস্তিতে সুমাইয়ার মা ও বাবা। শেষপর্যন্ত পুলিশের সাহায্যে পেয়ে খুশি পরিবার। এই ঘটনায় ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছেন ওসি দেবাশিস ঘোষ। বিশেষ করে যেভাবে ধর্ম বিচার না করে মানুষের প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছেন পুলিশের দায়িত্ব নিয়েও যে জনসেবা করা যায় তার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct