ফৈয়াজ আহমেদ: গতকাল ছিল ‘ওয়ার্ল্ড এইডস ভ্যাকসিন ডে’। এইডস রোগটি সম্পর্কে সচেতন, নির্মূল ও প্রতিরোধ করার শপথ নিয়ে ১৯৯৮ সালের ১৮ মে থেকে ‘বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন ডে’ পালন করা হয়ে আসছে নিয়মিত। সেই সঙ্গে, এই দিনটিকে ‘এইচআইভি ভ্যাকসিন সচেতনতা দিবস’হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। এই দিনটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হল এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস প্রতিরোধের জন্য এইচআইভি ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা কতখানি সেবিষয়ে সকলকে সচেতন করা।
জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউট -এর নেতৃত্বে এই উদ্যোগের মাধ্যমে, মানুষকে এই অবহিত করা হয় যে, এইচআইভি প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং প্রতিরোধের প্রক্রিয়ায় আমাদের প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, এবং অবশ্যই বিশ্বব্যাপী দায়বদ্ধতা সকলকে গ্রহণ করতে হবে।
কোটি কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, গবেষক এবং স্বেচ্ছাসেবী মানুষ, যাঁরা একটি কার্যকরী এইডস ভ্যাকসিন তৈরি করার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সমস্ত ব্যক্তি যাঁরা নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে এই কাজ করে আসছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদানেই ১৮ মে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করা হয়।
এইচআইভি হল হিউম্যান ইমিউনোডেফিসি ভাইরাস যা দেহের অনাক্রম্যতাকে আক্রমণ করে। ছুঁচ, রক্ত, অরক্ষিত যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে এই ব্যাধি কোনও ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় মায়ের থেকে সন্তানও সংক্রমিত হতে পারে। ফ্লু, জ্বর, গলা ব্যথা এবং ক্লান্তির লক্ষণগুলি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের উপসর্গ হিসাবে চিহ্নিত করে।
অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপিগুলি রোগের বিকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করলেও এখনও পর্যন্ত এর নিরামক ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি।
বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবসের লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট থিম রাখা হয়। যা সচেতনতামূলক প্রচারের অংশ হিসাবে কাজ করে। ২০২১ সালের বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবসের একটি থিম রাখা হয়েছে, সেটি হল “বিশ্ব সংহতি, যৌথ দায়বদ্ধতা”।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct