আপনজন ডেস্ক : সারাদিন টানটান উত্তেজনার শেষে নারদ কাণ্ডর জন্য প্রেসিডেন্সি জেলের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ক থেকে বিধায়ক মদন মিত্রকে। রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসে এই প্রথমবার কলকাতার তিন মেয়র একসাথে জেলে। রাত তখন ১ টা পেরিয়েছে। জেলে একবার দেখা করার জন্য হাজির সকলের আত্মীয়রা। হাজির হয়েছেন
ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী ও মেয়ে ও তাঁরা ঢুকে গিয়েছে ভেতরে। কিন্তু শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা করতে এলে সিবিআই দপ্তর থেকে
মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় । তিনিও চান একবার জেলের ভেতর গিয়ে বন্ধু শোভনকে দেখতে। তখন জেলের দরজার বাইরে বৈশাখীর সঙ্গে ছিলেন শোভনবাবুর ছেলেও। বারবার দরজায় ধাক্কা মারছেন। কাতর আবেদন, একবার খুলে দেন। ভেতরে যাব। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সাংবাদিকদের জানালেন, শোভনবাবু সুগারের রোগী। নানা সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন ওষুধের প্রয়োজন। না দিলে বিপদ। কাতর আবেদনেও জেল কর্তৃপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় রাজ্যপালের উদ্দেশেও সাংবাদিকদের সামনে নানা কথা বলেন। এমনকী, বৈশাখী হুমকি দেন, যদি না যেতে দেওয়া হয় তাহলে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণও রতে রাজি।সেই সঙ্গে ক্ষোভও গোপন রাখেননি তিনি। রাগান্বিত হয়ে ক্ষোভে বলেন, ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী, মেয়ে যদি ভেতরে যেতে পারে তাহলে তাঁকে আটকে দেওয়া হল কেন। মুখের ওপর এমন দরজা বন্ধ করল যে, দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। অবশেষে অবশ্য তাঁকে যেতে দেওয়া হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct