আপনজন ডেস্ক: মাঝে কিছুদিন বরুসিয়া ডর্টমুন্ড হাটবাজার খুলে বসেছিল। তরুণ কোনো প্রতিভাকে কিনে এনে পরে বেশি দামে বিকিয়ে দিত পরাশক্তিদের কাছে। এতে ক্লাবের আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও ক্লাব হিসেবে নিজেদের পরাশক্তি পরিচয়টা হারিয়ে ফেলছিল দলটি। গত কয়েক বছরে ফর্মের চূড়ান্তে থাকা অবস্থায় রবার্ট লেভানডফস্কি, মারিও গোৎসা, মাটস হুমেলসের মতো খেলোয়াড়দের বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারিয়েছিল তারা। পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং, মেখিতেরিয়ান, গুনদোয়ানের মতো খেলোয়াড়দের টেনে নিয়ে গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ।
ডর্টমুন্ড সবচেয়ে বড় দাঁও মেরেছিল উসমান দেম্বেলের ক্ষেত্রে। মাত্র এক মৌসুম আগে দলে আসা এই উইঙ্গারকে ১ কোটি ইউরোর একটু বেশি খরচ করে টেনে এনে পরে বার্সেলোনার কাছে প্রায় ১৪ কোটি ইউরোতে বিক্রি করেছিল তারা। ফলে ইউরোপজুড়ে ডর্টমুন্ডের গায়ে ‘বিক্রেতা ক্লাব’ ট্যাগ সেঁটে গিয়েছিল। যেকোনো খেলোয়াড়কে পছন্দ করে একটু দর-কষাকষিতেই নিয়ে যাওয়া যাবে—এমন ধারণা জন্ম নিয়েছিল। সে ধারণা গত দলবদলের বাজারে একটু বদলেছে।
এ কারণেই আগামী দলবদলের বাজারের আগেই সম্ভাব্য ‘ক্রেতা’দের সাবধান করে দিয়েছে জার্মান ক্লাব। বলে দিয়েছে, জোর করে আর তাদের থেকে খেলোয়াড় কেনা সম্ভব হবে না কারও পক্ষে।
ইউরোপের সেরা সম্ভাবনাময় প্রতিভাদের এক অংশ এখন ডর্টমুন্ডে। ইংলিশ জেডন সাঞ্চো ও জুড বেলিংহাম, নরওয়েজিয়ান আর্লিং হরলান্ড, জার্মান ইউসুফা মুকোকো, যুক্তরাষ্ট্রের জিওভান্নি রেইনা—প্রলুব্ধ করার মতো খেলোয়াড়ের কমতি নেই। এর মাঝেও আলাদা করে হরলান্ড বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন। দেড় বছর আগে ডর্টমুন্ডে যোগ দেওয়ার পর ৫৭ ম্যাচে ৫৫ গোল তাঁর। নিখুঁত স্ট্রাইকারের আকালের দিনে ২০ বছর বয়সী এই দীর্ঘদেহীকে তাই টানাটানি পড়ে গেছে। সামনের জুলাই-আগস্টের পুরো সময়টা তাই হরলান্ডকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হতে পারে সাংবাদিকদের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct