আপনজন ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় যে কয়েকটি স্বাস্থ্য সরঞ্জাম লাগছে তার মধ্যে অক্সিমিটার খুবই উল্লেখযোগ্য একটি। এবার অক্সিমিটারের দাম নিয়ন্ত্রণে এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে নোটিশ জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অক্সিমিটারে বছরে ১০ শতাংশের বেশি দাম বাড়ানো যাবে না।
করোনা আবহে ওষুধ ও করোনা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সরঞ্জামে কালোবাজারি রুখতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার করোনা সম্পর্কিত সরঞ্জাম অক্সিমিটারের দাম নিয়ন্ত্রনে তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার। উৎপাদনকারী সংস্থাকে এবার এমআরপি সম্মন্ধে বিস্তারিত কেন্দ্রকে জানাতে হবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ যারা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে পালস অক্সিমিটার বেশি লাগছে। ফলে এখন অক্সিমিটারের চাহিদা যে আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে এখন অক্সিমিটারের চাহিদা যে আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে, চাহিদার তুলনায় জোগান পর্যাপ্ত নয়। জোগান পর্যাপ্ত না থাকায় কালোবাজারির সম্ভাবনাও বেড়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের এই দাম নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাজারে এখন দুই ধরনের অক্সিমিটার পাওয়া যাচ্ছে। এক ধরনের অক্সিমিটার যা গ্যারান্টি ছাড়া আর আরেক ধরনের অক্সিমিটার পাওয়া যাচ্ছে যা গ্যারান্টি যুক্ত।সূত্রের খবর, এই অক্সিমিটার বেশিরভাগই চিন থেকে আমদানি হয়। কিন্তু এখন চিন থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে এখন বাজারে চাহিদা বাড়লেও পর্যাপ্ত জোগানের অভাব দেখা দিয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গত বছর লকডাউনের সময় গ্যারিন্টি ছাড়া অক্সিমিটার বিক্রি হয়েছিল ৫০০ টাকায়।আর গ্যারান্টি যুক্ত অক্সিমিটার বিক্রি হয়েছিল ১৩০০ টাকায়। কিন্তু এখন গ্যারান্টি ছাড়া অক্সিমিটারই দুই হাজারের বেশি দামে বিকোচ্ছে অনেক জায়গায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct