নাজিম আক্তার, চাঁচল: শীতকালে আগুন গিলে নিয়েছিল নিঃসন্তান বৃদ্ধা বিধবার মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই।রাস্তা ধারেই কাতরাচ্ছিল ওই বৃদ্ধা তসলিমা বেওয়া। তবে সংবাদ মাধ্যমের নজরে দুর্দশাটি নজরে এলে প্রকাশিত হয় খবর। মালদা জেলার চাঁচল-১ নং ব্লকের মহানন্দাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়া গ্রামের ওই বৃদ্ধা তসলিমা বেওয়ার আপাতত কেউ নেই। তবে গেল মৌসম ,শীতে বৃদ্ধার কাঁচা বাসস্থানটি আগুন ভস্মীভূত হলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আরব দেশের মদিনা শহরের মসজিদে-আল-ফায়র্ জামে মসজিদের ইমাম আবু তাহের। তিনি সেখান থেকেই টাকা পাঠিয়ে ওই বৃদ্ধার মাথা গোঁজার জন্য একটি বাসস্থান গড়ে দিয়েছিল তাহের।
সম্প্রতি,মাস দুয়েক হল আদিবাড়ি মালদহের রতুয়া-১ নং ব্লকের কাঞ্চন নগর গ্রামে ফিরেছে ওই ইমাম সাহেব। তবে ভাগ্যক্রমে এবার ঈদে বাড়ি ফিরেছে তাহের। পূর্বে সাহায্য করা ওই নিঃসন্তান বিধবা বৃদ্ধা তসলিমার পাশে ফের দাঁড়ালো ওই ইমাম।ঈদের আগে বুধবার রতুয়া থেকে বাইকে করে চাঁচলের মল্লিকপাড়ায় পঁচিশ কিমি পথ চলে ওই বৃদ্ধার বাড়ি পৌঁছায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে।ছিল ঈদ সামগ্রী সহ পোশাকও।তবে ওই বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে একাই ঘরে শুয়ে রয়েছে এমনটাই নজরে আসে ইমাম তাহেরের।দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই। প্রতিবেশী গ্রামেই বৃদ্ধার বোনের বাড়ি রয়েছে। বোন মাঝে মাঝে দেখে যায় বলে গ্রামবাসী নিহার বিবি জানালেন।বৃদ্ধা অসুস্থ তাই এদিন আবু তাহের ওই বৃদ্ধার ঔষুধ ক্রয় করার জন্য ও একমাসের হাত খরচ হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দিয়েছে অসুস্থ তসলিমার হাতে। তবে ছয়মাস আগে যে মানুষটা তার জন্য মাথা গোঁজার ঠাই গড়ে দিয়েছিল। আজ তাকে সরাসরি দেখে খুশি হয়েছে তসলিমা। কাছে পেয়ে আশীর্বাদ করেছেন ইমাম সাহেবকে।
ইমাম আবু তাহের বলেন, আমি তার সন্তানের মতো। মদিনাতে থেকে ঘর তৈরি করে দিয়েছিলাম।এখন পাশেই রয়েছি তা ই আবার এসে একটু নজর ঘুরিয়ে গেলাম। নিঃসন্তান ওই বৃদ্ধার অবস্থা শোচনীয়, তাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন। তবে গ্রামের বাড়ি রতুয়ার কাঞ্চন নগরে ঈদ উপলক্ষ্যে দুস্থদের মাঝে পোশাক বিলি করছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct