আপনজন ডেস্ক: চিনের জিনঝিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের আধিক্য। তাদের উপর চিন সরকারের দমন পীড়নের কথা আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গেছে। রাষ্ট্রসংঘ থেকে শুরু করে আমেরিকা সবাই চিনের এই আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করে আসছে। তা সত্ত্বেও চিন সরকারের কোনও হেলদোল নেই। চিন সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর শুধু নানা রকম ধর্মীয় বিধি নিষেধ চাপিয়ে আসেনি সেখানকার বহু মসজি ধংংসের অভিযোগ রয়েছে। মসজিদের নিমান সরিয়ে দিচ্ছে। এই প্রভা পড়েছে সেখানকার ুমসলিমদের উপর। সম্প্রতি এক অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞদ এ নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের (এএসপিআই) একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ের স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে তারা অন্তত ১৭০টি ধ্বংস হওয়া মসজিদ পেয়েছেন।
এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন সাময়িকী নিউজ উইকে। সেখানে বলা হয়, গত দশকে কাশগরের ঐতিহাসিক সিল্ক রোড নগরীর আইডাহে মসজিদে উপস্থিতি প্রায় পাঁচ হাজার জন থেকে ৯০০ জনে নেমেছে। এই তথ্য দিয়েছেন মসজিদটির ইমাম মামাত জুমা। চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি আর সংখ্যালঘুদের রোজা রাখার অনুমতি দেয় না এবং পর্যবেক্ষকরা শতাধিক মসজিদ ভেঙে পড়ে থাকতে দেখেছেন। সরকার এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে। তারা মসজিদগুলোর উন্নয়নে করা ব্যয়ের দিকে ইঙ্গিত করেছে। উন্নয়নের মধ্যে আছে ফ্যান, ফ্লাশিং টয়লেট, কম্পিউটার এবং এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে। আলি আকবর দুমাল্লা নামের এক উইঘুর ২০১২ সালে চিন থেকে পালিয়ে আসেন। তিনি এক ভিডিও ইন্টারভিউতে বলেন, যখনই এটি প্রয়োজন তখন এ জাতীয় দৃশ্য তৈরি করার একটি রুটিন তাদের রয়েছে। লোকেরা ঠিক কী করতে হবে, কীভাবে মিথ্যা বলতে হয় তা জানে। এটি তাদের জন্য নতুন কিছু নয়। তাদের সেই সত্যতা প্রকাশিত হল অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞ দলের রিপো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct