জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি বিধানসভার নব নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক হয়েছেন সুশান্ত মাহাতকে। তার কাছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবদার পুরুলিয়ার ঝালদা ১ নং ব্লকে অবৈধ ভাবে টেন্ডার করা বন্ধ করার জন্য। ঘটনা ঘটেছে শনিবার। ঝালদার বাসিন্দা রীতেশ পিপুরিয়া নামে এক ব্যক্তি নিজের ফেইসবুক একাউন্টে পোষ্ট করেন “ আওয়ার নিউ এমএলএ সুশান্ত মাহাত আই রিকোয়েস্ট টু ইউ প্লিজ স্টপ ইনলিগেল টেন্ডার ইন ঝালদা ব্লক ওয়ান”। রীতেশের নিজের এই ফেইসবুক একাউন্টে টেন্ডার কে নিয়ে এমনই লেখা পোষ্ট করার কিছু ক্ষনের মধ্যেই এই ফেইসবুক পোষ্ট কে ঘীরে সমালোচনার ঝড় উঠতে থাকে। চলতে থাকে কমেন্ট বক্সের মধ্যে কমেন্টসের যুদ্ধ। ফেইসবুক পোষ্টকারী রীতেশ বাবু কমেন্ট বক্সে আরও দাবী করে বলেন, ঝালদা ১ নং ব্লকে দুই জন ঠিকাদার ছাড়া আর কাউকে কাজ দেওয়া হয় না। তিনি আরও জানান ঝালদা ১ নং ব্লকের কাজকর্মে বোঝাপড়ার ব্যাপার থাকে ইত্যাদি। অন্যদিকে ঝালদা ১ নং ব্লকের ঠিকাদার ইউনিয়নের সভাপতি সঞ্জয় সিং দেও কমেন্ট বক্সে জানান ,ব্লকে ৪৫ জন ঠিকাদার রয়েছে। টেন্ডার হওয়ার আগে মিটিং করা হয় তারপর উপযুক্ত ঠিকাদারের হাতে কাজ তুলে দেওয়া হয়। ঝালদা শহরের বাসিন্দা তথা ঝালদা পৌরসভার প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান চিরঞ্জীব চন্দ্র ওরফে শ্যাম চন্দ্র ওই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন তোলেন ৪৫ জন ঠিকাদারের তালিকা তৈরী করলো কে ? যেখানে ই টেন্ডার মানেই কোনো লিমিটেশন থাকবে না ৪৫ বা ১০০ জনের। ঠিকাদারের তালিকা অনুযায়ী ঠিকাদারকে টেন্ডার দেওয়া হয় মানেই এখানে দুর্নীতি আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন এবিষয়ে ঝালদার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে টেন্ডারে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে পথে নামবেন তারা।
এবিষয়ে ঝালদা ১ নং ব্লকের ঠিকাদার উনিয়নের সভাপতি সঞ্জয় সিং দেও বলেন ,সমস্ত কাজের ক্ষেত্রেই অনলাইন টেন্ডার হয় ,কাজে স্বচ্ছতা আনার লক্ষেই। টেন্ডারে কোনো রকম ভাবে স্বজন পোষণ করা হয় না। পাশাপাশি যে ঠিকাদার কম রেটের মধ্যে কাজ করতে আগ্রহী হয় সেই ঠিকাদারই কাজ বেশী পায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে বাঘমুন্ডি বিধানসভার নব নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়াক সুশান্ত মাহাতর প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে তিনি বলেন,প্রথমত ওই ফেইসবুক পোষ্ট তিনি দেখেন নি। তারপর কোন টেন্ডার বৈধ আর কোন টেন্ডার অবৈধ সে সব বিষয় গুলো প্রশাসন দেখবেন বলে তিনি জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct