আপনজন ডেস্ক: সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গোটা দেশে টিকাকরণের জন্য অভিন্ন ভ্যাকসিন নীতির দাবি তুললে মমতা। প্রত্যেক রাজ্যকে অভিন্ন নীতি নিযাতে প্রত্যেক রাজ্যকেই বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুভ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মামলার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রে বিরুদ্ধে তার লড়াই শুরু করে দিলেন।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের বক্তব্য, করোনা ভ্যাকসিন সহজলভ্য করা ও প্রতিটি রাজ্যকে যাতে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেওয়া যায় তার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারের অবশ্যই উচিত সব রাজ্যকে বিনামূলে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। সেই সঙ্গে সরকারকে এবং বেসরকারি হাসপাতালকে কেন ভিন্ন দামে করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে সুুপ্রিম কোর্টের আর্জিতে।
আগামী সোমবার এই মামমলার শুনানির আগে রাজ্য সরকারের তরফে হলফনামা জমা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে আলোচনা ও দরকষাকষি করতে পারে না। রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে বাধ্য করা হোক, নচেৎ স্বাস্থ্য পরিষেবায় এর কারাপ প্রভাব পড়বে।
উল্লেখ্য, এই সপ্তাহের শুরুতে, সুপ্রিম কোর্ট ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল এবং কেন্দ্রকে তার নীতিতে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ভ্যাকসিন নীতি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট গত সোমবার বলেছিল, কেন্দ্রীয় সরকাররের উচিত করোনা ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে কথা বলে, দরকষাকষি করে দাম নির্দিষ্ট করা। এই ভ্যাকসিনের দাম নির্দারণ নিয়ে গত মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে বলেছিলেন, ‘এক দেশ, এক দল, এক নেতার ব্যাপারে সবসময় সরব হয় বিজেপি, কিন্তু প্রাণ বাঁচানোর ক্ষেত্রে করোনা ভ্যাকসিনের একটি মূল্যও থাকতে পারে না তাদের কাছে। বয়স, বর্ণ, বর্ণ, অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যেক ভারতীয়কে বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন। কেন্দ্র বা রাজ্যগুলি নির্বিশেষে সরকার কোভিড ভ্যাকসিনের এক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।’
যদিও গত মাস অবধি কেন্দ্র ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থ্যা ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে কোভ্যাকসিন ও সিরাম ইনস্টিটিউট (এসআইআই)-এর কাছ থেকে কোভিশিল্ড কিনে রাজ্যগুলিতে বিনামূল্যে বিতরণ করছিল।
এখন, নির্মাতারা ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে টিকা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা রাজ্য এবং বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ ডোজ সরবরাহ করবে।
বাকিগুলি সস্তাW দেবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কেন্দ্রীয় সরকার সেগুলি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মী, করোনা যোদ্ধা ও যাদের বয়স ৪৫-এর উপরে তাদেরকে দেবে।যদিও সিরাম ঘোষনা করেছে রাজ্যগুলিকে করোনা ভ্যাকসিন দেবে ৪০০ টাকায় আর বেসরকারি হাসপাতালকে ৬০০ টাকায়। আর ভারত বায়োটেক রাজ্যকে দেবে ৬০০ টাকায় ও বেসরকারি হাসপাতালকে দেবে ১২০০ টাকায়। এই দাম পার্থক্যেই রাজ্য সরকারের আপত্তি। দামের ক্ষেত্রে বৈষম্য কেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct