আপনজন ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তীতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যে রাজনেতিক হিংসা হচ্ছে তা বন্ধ করার আর্জি জানালেন রাজ্যের বিশিষ্টজনরা। বিশেষ করে মুসলিমদের পবিত্র রমযান মাসে সংযম হারিয়ে রাজনৈতিক হিংসা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে এক যৌথ বিবৃতিতে রাজ্যের মুসলিম আলেম ও বুদ্ধিজীবীদের তরফ থেকে আর্জি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুসলিম নেতৃত্ব ও বিদ্বজ্জনেরা।
তারা বিবৃততে বলেছে, পবিত্র রমযান মাস চলছে। কয়েকদিন পরেই খুশির ঈদ। এমন সময়ে ভাঙড়ের ভোগালি, পোলেরহাট, নারায়নপুর, প্রাণগঞ্জ, ভগবানপুর, কানিং পূর্বের দেউলী, কালিকাতলা, সারেঙ্গাবাদ, তাম্বুলদহ, চন্দনেশ্বর, দেগঙ্গার কদম্বগাছি, চাকলা, কলসুর, আমডাঙার আদহাটা, তারাবেড়িয়া, হাড়োয়ার খাসবালান্দা সহ বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর চলছে। দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছিতে রছর তিরিশের যুবক হাসানুজ্জামানকে কুপিয়ে খুন করে রাজনৈতিক আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা।
এই রাজনৈতিক হিংসা অবিলম্বে বন্ধের জন্য সবস্তরের মানুষের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে। সরকার ও প্রশাসন হিংসা বন্ধ করতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
যেসব মুসলিম আলেম ও বুদ্ধিজীবী ওই বিবৃতির মাধ্যমে শান্তি বজায় রাকার আবেদন জানিয়েছেন তারা হলেন, মাওলানা ইশহাক মাদানী (সদস্য, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল' বোর্ড), ক্বারী শামসুদ্দিন আহমেদ (রাজ্য সম্পাদক, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, পশ্চিমবঙ্গ), আহমদ হাসান ইমরান (সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক), মুহাম্মদ কামরুজ্জামান (রাজ্য সম্পাদক, সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন), ডা. আলমগীর সরদার (সম্পাদক, জমিয়তে আহলে হাদীস পশ্চিমবঙ্গ), সৈয়দ তাফহীমুল ইসলাম (সম্পাদক, আহলে সুন্নাতুল হানাফী জামাত), ড. নুরুল ইসলাম (শিক্ষাবিদ). মুহাম্মদ শাহ আলম (রাজ্য মুসলিম থিঙ্ক ট্যাঙ্ক), মুন্সি আমিরুল আলম (স্ন্যাপ)।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct