আপনজন ডেস্ক: এবার আর শুক্রবারের জন্য অপেক্ষা নয়, বুধবার ৫ মে তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কালীঘাটে তৃণমূলের অফিসে বিশেষ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এদিন কালীঘাটে তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, পুনরায় তাদের দলনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মমতাই। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেব শপথ নেবেন ৫ মে। আর ৬ ও ৭ মে শপথ নেবেন বাকি বিধায়করা। বিধানসভার স্পিকার হবেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই। স্পিকার নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কারা মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন বৃহস্পতিবার।
এদিন সন্ধ্যায় রাজভবনে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সি। সরকার গঠনের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা।
এদিন রাজভবনে মমতা-রাজ্যপালের মধ্যে কুশল বিনিময়ের পর প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন সূত্রে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল।
একই সঙ্গে পরবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে মমতাকেই কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকেই দলের জয়ী বিধায়কদের তালিকা রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, এবারের মন্ত্রিসভায় পুরোনো সব মন্ত্রী যে ঠাঁই পাবেন, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে এটুকু জানা গেছে, মমতা চাইছেন কিছু তরুণ বিধায়ককে এই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়ে নতুন সরকারের কাজের গতি বাড়াতে। তাই এবার পুরনো অনেক মন্ত্রী বাদ পড়ে যেতে পারেন মন্ত্রিসভা থেকে। এবারে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ হবে রাজভবনেই।
২০১১ সালে মমতা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন, তখন প্রথম মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল এই রাজভবনে বিশাল প্যান্ডেল খাটিয়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্টজনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ২০১৬ সালে মমতা দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচনে জিতলে সেবার মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয় কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার রেড রোডে। সেখানেও বিশাল প্যান্ডেল বানিয়ে আমজনতার সামনে শপথ নিয়েছিলেন মমতা।
উল্লেখ্য, ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২৯২টি আসনে নির্বাচনের ফল বের হয়েছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২১৩টি, বিজেপি পেয়েছে ৭৭টি, আইএসএফ ও অন্যান্যরা পেয়েছে একটি করে আসন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct