মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: নারী-পুরুষের বিবস্ত্র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য নদীয়া চাকদহ র ইটাপুকুর গ্রামে বিবাহিতা একজন মহিলা ও এক যুবক মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য দেখা দেয় নদিয়ার চাকদহ থানার ইটাপুকুর গ্রামে।পুলিশ সূত্রে গিয়েছে, মৃতদের নাম পুতুল মল্লিক(৩২) ও সুব্রত দুর্লভ(২৭)। ইঠাপুকুর গ্রামেই বাড়ি পুতুলের। সুব্রতর বাড়ি চাকদহ থানার গোরপাড়ায়।বৃহস্পতিবার সকালে পুতুলের বাড়ির কাছেই একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দুজনকে ঝুলতে দেখতে পান এলাকার লোকজন। মৃত পুতুলের শরীরে বিশেষ কোন পোশাক ছিল না। সুব্রত পরনে ছিল হাফপ্যান্ট। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই সুব্রতর সঙ্গে পুতুলকে রাস্তায় কথাবার্তা বলতে দেখা যেত।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুজনের মধ্যে বিবাহ -বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ।সম্ভবত পুতুলকে মারধর করে খুনের পর গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।কারণ, তার নাকে মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল।এরপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক।
যদিও পুলিশ জানিয়েছে এখনো কোন পক্ষ থেকেই কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। জানা গিয়েছে, কয়েকবছর আগে মদনপুরে একটি ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল।তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। পুতুলের মা সুমিত্রা দুর্লভ জানিয়েছেন রাত দশটা নাগাদ আমি পুতুলের ছেলেকে নিয়ে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।মেয়েকে নিয়ে বাইরের ঘরে ঘুমিয়েছিল পুতুল।রাতে ঝোড়ো হাওয়া বইছিল।আমি আর কিছু জানিনা।
সকালে প্রতিবেশীরা জানান,গাছের সঙ্গে ঝুলছে আমার মেয়ে পুতুল এবং সুব্রত নামে একটি ছেলে।আমার মেয়ের যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সেই জামাই আমার মেয়ের উপর খুব অত্যাচার চালাত।তাই বছর দেড়েক আগে সে আমাদের এখানে চলে আসে। সুব্রত নামে ওই ছেলেটির সঙ্গে মাঝেমধ্যে রাস্তায় কথাবার্তা বলতে এলাকার লোকজন দেখেছেন।আমার মেয়ে আত্মহত্যা করল নাকি ওকে কেউ মেরে ফেলল তা আমি বুঝতে পারছি না।সুব্রত দুর্লভের ভাই সুভাষ দুর্লভের বক্তব্য দাদা কীভাবে মারা গেল, তা বুঝতে পারছিনা।’ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জোরে দুজনে আত্মহত্যা করেছে নাকি মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অন্য কোন কারণ সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct